প্রতীকী ছবি।
কাঠুয়ায় শিশু ধর্ষণ ও খুনের মামলার অবাধ ও সুষ্ঠু বিচার হতেই হবে। তেমন হওয়ার সম্ভাবনা না থাকলে ওই মামলা অন্য আদালতে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে। ধর্ষিতার পরিবার ও তাঁর তরফের আইনজীবীর যথাযথ নিরাপত্তার ব্যবস্থা করতে হবে।
সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি দীপক মিশ্র বৃহস্পতিবার এ কথা বলেছেন। ধর্ষিতার বাবার আবেদনের প্রেক্ষিতে ওই মামলা অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে কি না, আগামী কাল, শুক্রবার থেকেই তার শুনানি শুরু হবে প্রধান বিচারপতি দীপক মিশ্রের নেতৃত্বাধীন সুপ্রিম কোর্টের একটি বেঞ্চে।
এ দিন প্রধান বিচারপতি মিশ্র বলেন, ‘‘আমাদের প্রথম এবং সাংবিধানিক কর্তব্যই হল, মামলার অবাধ ও সুষ্ঠু বিচার, ধর্ষিতার পরিবার ও আইনজীবীর নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করা ও প্রয়োজন হলে মামলাটিকে অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করা।’’
সুপ্রিম কোর্টে দায়ের করা আবেদনে ধর্ষিতার বাবা তাঁর পরিবার ও আইনজীবী দীপিকা রাজাওয়াতের নিরাপত্তা নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন। ওই ঘটনার তদন্তে জম্মু-কাশ্মীর পুলিশের ভূমিকায় সন্তোষ প্রকাশ করলেও, আদালতে যে ভাবে তাঁদের আইনজীবীদের লাগাতার বাধার মুখে পড়তে হচ্ছে, তাতে মামলাটিকে কাঠুয়া থেকে সরিয়ে চণ্ডীগড়ে নিয়ে যাওয়ার আর্জি জানিয়েছিলেন ধর্ষিতার বাবা।
ধর্ষিতার আইনজীবী দীপিকা রাজাওয়াতের অভিযোগ ছিল, জম্মু-কাশ্মীর হাইকোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশনের সদস্যরা তাঁকে ক্রমাগত প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে চলেছেন যাতে তিনি মামলা না লড়েন। জম্মু-কাশ্মীর হাইকোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশনের তরফে অবশ্য সেই অভিযোগ অস্বীকার করা হয়।
ও দিকে, বার কাউন্সিল অফ ইন্ডিয়ার তরফে এ দিন সুপ্রিম কোর্টে জানানো হয়েছে, তাঁরা অভ্যন্তরীণ তদন্ত চালিয়ে দেখেছেন, মামলার চার্জশিট পেশ হওয়ার সময় আইনজীবীরা কোনও বাধা দেননি। ঘটনার সিবিআই তদন্তের যে দাবি জানানো হয়েছে জম্মু-কাশ্মীর হাইকোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশনের তরফে, তাকেও ‘যুক্তিসঙ্গত’ বলে মনে করছে বার কাউন্সিল অফ ইন্ডিয়া।