আলতাফ আহমেদ ওয়ানি।
বন্দিদশা কাটিয়ে ফিরলেও কাশ্মীরি নেতাদের বিদেশযাত্রায় এখনও নিষেধাজ্ঞা বহাল। তার জেরে দিল্লি বিমানবন্দর থেকে ফিরে আসতে হল ন্যাশনাল কনফারেন্সের (এনসি) প্রাক্তন বিধায়ক আলতাফ আহমেদ ওয়ানিকে। একটি পারিবারিক অনুষ্ঠানে যোগ দিতে দুবাই যাচ্ছিলেন তিনি। কিন্তু বিমানে ওঠার আগের মুহূর্তে তাঁকে আটকানো হয়। জানানো হয়, আগামী বছর মার্চ পর্যন্ত দেশের বাইরে যেতে পারবেন না তিনি।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় দিল্লি বিমানবন্দর থেকে ফিরে আসতে হয় আলতাফকে। তিনি জানিয়েছেন, পরিবারের লোকজনের সঙ্গেই দুবাই যাচ্ছিলেন তিনি। সঙ্গে থাকা জিনিসপত্রেরও চেক ইন হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু অভিবাসন কাউন্টার থেকে আচমকাই তাঁকে বিমানবন্দরের একটি ঘরে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। বলা হয়, তাঁর পাসপোর্ট নিয়ে কিছু সমস্যা রয়েছে। টানা তিন ঘণ্টা ওই ঘরে আটকে রাখার পর জানানো হয়, তিনি দেশের বাইরে পা রাখতে পারবেন না।
এনসি-র হয়ে পহলগাঁও থেকে বিধায়ক নির্বাচিত হয়েছিলেন আলতাফ। সংবাদ সংস্থা পিটিআই-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘‘কেন আমাকে আটকানো হচ্ছে, অভিবাসন আধিকারিকদের কাছে তা জানতে চেয়েছিলাম। কিন্তু সদুত্তর পাইনি। তাই পরিবারের লোকজনকে দুবাই রওনা দিতে বলি। প্রায় তিন ঘণ্টা বসিয়ে রাখার পর পাসপোর্ট ফেরত দেওয়া হয় আমাকে। দিল্লিতে যেখানে ছিলাম, সেখানে ফিরে যেতে বলা হয়। তার জন্য বেশ কিছু কেনাকাটাও করতে হয় আমাকে। কারণ তত ক্ষণে সব জিনিসপত্র বিমানে উঠে গিয়েছে।’’
আরও পড়ুন: ‘সীমান্তে কেউ আমাদের শক্তি পরীক্ষা করলে, যথাযথ উত্তর পাবে’, কড়া বার্তা মোদীর
আরও পড়ুন: লাদেনের আত্মীয় আল মাসরিকে মেরেছে ইজরায়েল, দাবি আমেরিকার রিপোর্টে
গত বছর জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা খর্বের পর থেকেই উপত্যকার রাজনীতিকদের গতিবিধির উপর কড়া নজরদারি চলছে। সেই সময় এনসি, পিপলস ডেমোক্র্যাটিক পার্টি (পিডিপি)-সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের ৩৭ জন নেতার একটি তালিকা তৈরি করে উপত্যকা প্রশাসন। শুরুতে তিন মাসের জন্য তাঁদের বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা বসানো হয়। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ বাড়তে থাকে। তবে পরিস্থিতি পর্যালোচনার পর সম্প্রতি ওই তালিকা থেকে বেশ কিছু জনের নাম বাদ দেওয়া হয়। এই মুহূর্তে ওই তালিকায় ৩৩ জনের নাম রয়েছে। তবে উপত্যকার প্রাক্তন তিন মুখ্যমন্ত্রী ফারুক আবদুল্লা, ওমর আবদুল্লা এবং মেহবুবা মুফতির নাম নেই ওই তালিকায়।