—ফাইল চিত্র।
রাজ্যগুলিকে করোনা সংক্রমণ নিয়ে সতর্ক থাকতে বলল কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক। সম্প্রতিই কর্নাটকে করোনায় আক্রান্ত এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। কেরলের পর এই প্রথম অন্য রাজ্যে মৃত্যুর খবর প্রকাশ্যে এল। তার পরেই বুধবার এই সতর্ক বার্তা জারি করা হয়েছে কেন্দ্রের তরফে। শুধু তা-ই নয়, দেশের সাম্প্রতিক করোনা সংক্রমণের পরিস্থিতি নিয়ে একটি বৈঠকও করেছেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুখ মান্ডবীয়া।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রীর ডাকা ওই বৈঠকে হাজির ছিলেন দুই কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ প্রতিমন্ত্রী এসপি সিংহ বঘেল এবং ভারতী পাওয়ার। এ ছাড়া স্বাস্থ্যসচিব, স্বাস্থ্য সংক্রান্ত গবেষণা দফতরের সচিব, নীতি আয়োগের (স্বাস্থ্য সংক্রান্ত) সদস্যও যোগ দেন বৈঠকে। সূত্রের খবর, ওই বৈঠকেই করোনার সাম্প্রতিক পরিস্থিতির সাপেক্ষে আগে থেকে প্রস্তুত থাকার কথা বলেছেন মান্ডবীয়া। সেই সঙ্গে রাজ্যগুলিকেও সতর্ক হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।
স্বাস্থ্যমন্ত্রক সূত্রে জানা গিয়েছে, মান্ডবীয়া বলেছেন, ‘‘করোনার সংক্রমণ ঠেকাতে কেন্দ্রের সঙ্গে যৌথ ভাবে কাজ করতে হবে রাজ্যগুলিকে। প্রয়োজনে প্রতি তিন মাস অন্তর রাজ্যে রাজ্যে করেনা পরিস্থিতি মোকাবিলার মহড়া দিতে হবে।’’ এ ছাড়াও সমস্ত কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল এবং রাজ্য প্রশাসনকে বলা হয়েছে, কোনও রোগীর শরীরে করোনার উপস্থিতি পাওয়া গেলেই তার নমুনা পাঠাতে হবে ইন্ডিয়ান সার্স-কোভ-২ জেনোমিকস কনসর্টিয়াম (ইনসাকোগ)-এ। যাতে করোনার নতুন কোনও রূপ তৈরি হয়েছে কি না, তা জানা যায়।
প্রসঙ্গত, স্বাস্থ্যমন্ত্রকের দেওয়া তথ্যেই জানা গিয়েছে, গত সাত মাসে দেশে সর্বোচ্চ করোনা সংক্রমণ ধরা পড়েছে বুধবার। গত ২৪ ঘণ্টায় ৬১৪ জন করোনা সংক্রমিত হয়েছেন দেশে। শেষ গত ২১ মে এই সংখ্যা ছুঁয়েছিল করোনা সংক্রমণ।
করোনা সংক্রমণের এই সাম্প্রতিক বৃদ্ধির নেপথ্যে করোনা ভাইরাসের নতুন উপরূপকে দায়ী করছেন বিশেষজ্ঞরা। জেএন.১ নামের ওই উপরূপ প্রথম ধরা পড়েছিল কেরলের এক রোগীর শরীরে। গত কয়েকদিনে দক্ষিণের এই রাজ্য এবং কর্নাটকেও সংক্রমণ ছড়িয়েছে বলে জানাচ্ছে স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তথ্য। এরই মধ্যে গত ১৫ ডিসেম্বর এক ৬৪ বছর বয়সি করোনা আক্রান্তের মৃত্যু হয় কর্নাটকে। যে খবর সম্প্রতি এসেছে প্রকাশ্যে।
ওই রোগীর বয়স ৬৪। তাঁর বেশ কিছু কোমর্বিডিটি ছিল। তিনি কিছুদিন আগেই শ্বাসকষ্ট, কাশি, ক্লান্তি ভাব, ক্ষুধামান্দ্যের সমস্যার কথা জানিয়েছিলেন চিকিৎসককে। তাঁর বুকের এক্স রে করে শ্বাসনালীতে সংক্রমণ পাওয়া যায়। পরে চিকিৎসা চলাকালীনই মৃত্যু হয় ওই প্রৌঢ়ের।