বিএস ইয়েদুরাপ্পা। —ফাইল চিত্র।
নাবালিকাকে যৌন হেনস্থার মামলায় কর্নাটক হাই কোর্টে সাময়িক স্বস্তি পেলেন রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা প্রবীণ বিজেপি নেতা বিএস ইয়েদুরাপ্পা। বৃহস্পতিবারই এই মামলায় ৮১ বছর বয়সি প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছিল বেঙ্গালুরুর বিশেষ আদালত। তার পরেই হাই কোর্টের দ্বারস্থ হন প্রবীণ নেতা। শুক্রবার হাই কোর্ট জানিয়েছে, ১৭ জুন মামলার পরবর্তী শুনানির আগে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীকে গ্রেফতার করা যাবে না।
এ দিন আদালত শুনানির সময় বলে, ‘‘যদি এক জন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে এ রকম করা হয়, তা হলে সাধারণ মানুষের কী হবে?’’ পকসো আইনে মামলা হওয়ার পরেও প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর গ্রেফতারি রদ হওয়া নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন আইনজীবীদের একাংশ। তাঁদের বক্তব্য, আইন সকলের ক্ষেত্রেই সমান হওয়া উচিত।
প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে ১৭ বছরের এক নাবালিকাকে যৌন হেনস্থার অভিযোগে পুলিশের দ্বারস্থ হন নাবালিকার মা। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে ইয়েদুরাপ্পার বিরুদ্ধে পকসো-সহ কয়েকটি ধারায় মামলা দায়ের করে কর্নাটক পুলিশ। ইয়েদুরাপ্পার ছেলে তথা বিজেপি নেতা বি ওয়াই রাঘবেন্দ্রর অভিযোগ, মামলাটির কোনও ভিত্তি নেই। রাজ্য বিজেপি নেতাদের অভিযোগ, রাহুল গান্ধীর বিরুদ্ধে কর্নাটক বিজেপির করা মানহানির মামলার প্রতিশোধ নিতেই এই মামলা হয়েছে। বিজেপি নেতাদের বক্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়ে রাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জি পরমেশ্বর জানিয়েছেন, বিজেপি নেতারা অর্থহীন কথা বলছেন। তিনি জানান, এই মামলায় ফরেন্সিক রিপোর্টের অপেক্ষায় রয়েছে তদন্তকারী সিআইডি দল। সেই রিপোর্ট পাওয়ার পরেই তারা পরবর্তী পদক্ষেপ করবে ও বিষয়টি আদালতে তুলবে।
গত ২ ফেব্রুয়ারি ১৭ বছরের কন্যাকে নিয়ে ইয়েদুরাপ্পার বাড়ি যান এক মহিলা। মহিলা জানিয়েছেন, তাঁর সঙ্গে কথা বলার পরে ইয়েদুরাপ্পা কিশোরী মেয়েটিকে পাশের ঘরে ডেকে নিয়ে যান। অভিযোগ, সেখানেই নাবালিকাকে যৌন হেনস্থা করেন ইয়েড্ডি।