এলসিডি স্ক্রিন লাগানো সেই আমন্ত্রণপত্র।
কেরলের ব্যবসায়ী বি রবি পিল্লাই মেয়েকে হিরেতে মুড়িয়ে দিয়েছিলেন। কংগ্রেস সাংসদ কানওয়ার সিংহ তনওয়ার তাঁর ছেলের বিয়েতে কনেপক্ষের প্রত্যেককে রিটার্ন গিফ্টে রুপোর বিস্কুট, নগদ ২১ হাজার করে টাকা দিয়েছিলন। স্বয়ং জেনিফার লোপেজ এসে অনুষ্ঠান করে গিয়েছেন শিল্পপতি সঞ্জয় হিন্দুজার বিয়েতে। হোটেল ব্যবসায়ী বিক্রম চটওয়াল আবার নিজের বিয়েতে ২৬টা দেশ থেকে অতিথিদের প্রাইভেট জেটে উড়িয়ে এনেছিলেন। এই সব বিগ ফ্যাট ওয়েডিংকে টপকাতে জনার্দন রেড্ডি ঠিক কী কী করবেন? তা জানতে গেলে অবশ্য এখনও একটা মাস অপেক্ষা করত হবে। কারণ, চলতি বছরের নভেম্বরেই অনুষ্ঠিত হতে চলেছে কর্নাটকের প্রাক্তন এই মন্ত্রীর মেয়ে ব্রাক্ষ্মণীর বিয়ে। তাঁর মতো একজন প্রভাবশালী এবং দেশের অন্যতম ধনী ব্যক্তির মেয়ের বিয়েতে যে কতটা চমক থাকবে তা বিয়ের আমন্ত্রণ পত্র দেখলেই অনুমান করা যায়। অভিনব সেই আমন্ত্রণ পত্র ইতিমধ্যেই সাড়া ফেলে দিয়েছে দেশজুড়ে।
কেমন সেই আমন্ত্রণ পত্র?
দেখুন সেই অভিনব কার্ডের এক ঝলক:
সি-গ্রিন রঙের ছোট্ট একটা কাঠের বাক্স। ভিতর লাগানো রয়েছে এলসিডি স্ক্রিন। খুললেই ভিতরে লাগানো সেই এলসিডি পর্দায় দেখা যাবে সস্ত্রীক রেড্ডি আর তাঁদের পুরো পরিবারকে। হাত জোড় করে সমস্ত অতিথিদের আমন্ত্রণ জানাচ্ছেন তাঁরা। দেখা যাবে রেড্ডির হবু জামাইকেও। অনেকটা কোনও বলিউড ফিল্মের নায়ক-নায়িকার মতোই হবু বর-কনের প্রাক-বিয়ে রোম্যান্সের কিছু ঝলকও পর্দা জুড়ে ফুটে উঠবে। হবু কনের পরনে সাদা লেহেঙ্গা আর হবু বরের ঘি রঙা ডিজাইনার শেরওয়ানি। ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, হবু বর-কনে একে অপরের দিকে নান্দনিক দৃষ্টিতে তাকিয়ে রয়েছেন, তো কখনও আবার হবু কনে নিজের লেহেঙ্গা ধরে ধীর গতিতে ছুটে চলে যাচ্ছেন, আর কখনও বা হবু বরের সঙ্গে লুকোচুরি খেলতে ব্যস্ত। এক মিনিটের সেই ভিডিও শেষ হচ্ছে একটি গান দিয়ে। যা স্ত্রী এবং ছেলের সঙ্গে গেয়েছেন খোদ রেড্ডি। ‘অতিথি দেব ভব’ গান গেয়েই তাঁরা সমস্ত অতিথিদের মেয়ের বিয়ের আমন্ত্রণ জানান এবং একই সঙ্গে বিয়ের তারিখ এবং ভেন্যুও জানিয়ে দেন। বিয়েতে নিমন্ত্রণ জানানোর অভিনব এই পদ্ধতি কোনও বলিউডি বিয়েকেও হার মানাবে। যে বিয়ের আমন্ত্রণ পত্র এমন, সে বিয়ে যে কেমন হবে তার আন্দাজ এত ক্ষণে নিশ্চয়ই পাওয়া গিয়েছে। কতটা তাক লাগাতে পারে তা জানতে গেলে একটু ধৈর্য ধরতেই হবে। কিউ কি পিকচার অভি বাকি হ্যায়!
৪৯ বছরের রেড্ডি কর্নাটকের অন্যতম প্রভাবশালী ব্যক্তি। তিনি প্রাক্তন মন্ত্রী। ২০১১ সালে খনি কেলেঙ্কারিতে সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার হন। তিন বছর জেলে কাটানোর পর গত বছরই জামিনে মুক্তি পান।