বিপাকে কুমারস্বামী সরকার
কর্নাটক নিয়ে কংগ্রেস-জেডিএস জোট ও বিজেপির মধ্যে টানাপড়েন চলছেই। রবিবার সেই নাটক আরও একধাপ এগিয়ে দিলেন কংগ্রেসের আরেক বিদ্রোহী বিধায়ক এমটিবি নাগরাজ। এ দিনই, বেঙ্গালুরু ছেড়ে বিমানে মুম্বই পৌঁছন তিনি। ফলে, বিদ্রোহীদের সংখ্যাটা এখন বেড়ে হয়েছে ১৫। আর হোটেলে বিদ্রোহীদের ভিড় যত বাড়ছে ততই আশঙ্কার মেঘ ঘনাচ্ছে কর্নাটকের এইচডি কুমারস্বামী সরকারের উপর।
গত ১০ জুলাই স্পিকারকে পদত্যাগপত্র পাঠিয়েছিলেন নাগরাজ। বিদ্রোহীদের বুঝিয়ে ঘরে ফেরাতে কুমারস্বামী নিজে চেষ্টা করছিলেনই। ময়দানে নামানো হয় কর্নাটক কংগ্রেসের ক্রাইসিস ম্যানেজার ডিকে শিবকুমার, উপ মুখ্যমন্ত্রী জি পরমেশ্বরকেও। কিন্তু, তাতে যে কাজ হবে না, তা এ দিন দুপুরের পরই স্পষ্ট হয়ে যায়। আরেক বিদ্রোহী বিধায়ক সুধাকর রাওয়ের সঙ্গে কথা বলে পদত্যাগের সিদ্ধান্ত খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছিলেন নাগরাজ। তাঁদের ঘরে ফেরাতে আত্মবিশ্বাসী ছিল কংগ্রেসও। কিন্তু, শেষ পর্যন্ত তা আর হল না। এ দিন কর্নাটকের বিজেপি সভাপতি বিএস ইয়েদুরাপ্পার সহযোগীর সঙ্গে দেখা যায় নাগরাজকে। তার পরই মুম্বইয়ের বিমান ধরেন তিনি।
কংগ্রেস-জেডিএস জোটের কাছে পরিস্থিতি যত ঘোরাল হচ্ছে ততই কটাক্ষের ধার বাড়াচ্ছে বিজেপি। কুমারস্বামীকে কার্যত চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়ে ইয়েদুরাপ্পার মন্তব্য, ‘‘আমি মুখ্যমন্ত্রী কুমারস্বামীকে দ্রুত পদত্যাগ করতে বলব। কারণ জেডিএস ও কংগ্রেসের ১৫ বিধায়ক ও ২ নির্দল বিধায়ক বিজেপিকেই সমর্থন জানাচ্ছেন।’’ শনিবার আস্থা ভোটে নিশ্চিত জয় হবে বলে দাবি করেছিলেন সিদ্দারামাইয়া। সোমবারই আস্থা ভোটের পাল্টা দাবি তুলেছে বিজেপি।
কর্নাটকের ক্ষমতা দখল নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরেই শাসক ও বিরোধী টানাপড়েন চলছে। নাগরাজের শিবির বদল তা আরও উসকে দিল।
আরও পড়ুন : পিএনবির পর, এবার এলাহবাদ ব্যাঙ্কে ১,৭০০ কোটি টাকার প্রতারণার অভিযোগ
আরও পড়ুন: লেনদেনে আধার নম্বর ভুল হলেই জরিমানা! নয়া আইন আনছে কেন্দ্র
আরও পড়ুন : লেনদেনে আধার নম্বর ভুল হলেই জরিমানা! নয়া আইন আনছে কেন্দ্র