উগ্রাপ্পা, সেলিম এবং শিবকুমার। গ্রাফিক: সনৎ সিংহ।
মিনিট দেড়েকের একটি ভিডিয়ো ফুটেজ (যার সত্যতা আননন্দবাজার অনলাইন যাচাই করেনি)। তাতে কর্নাটক প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি ডি কে শিবকুমারের ‘দুর্নীতি’ নিয়ে আলোচনা করতেশোনা যাচ্ছে দুই কংগ্রেস নেতাকে। তারই জেরে তৈরি হয়েছে প্রবল বিতর্ক। দল থেকে বহিষ্কৃত হতে হয়েছে কর্নাটক কংগ্রেসের ‘মিডিয়া সমন্বয়কারী’ এম কে সেলিমকে। ‘শো কজ’ নোটিস পাঠানো হয়েছে প্রাক্তন কংগ্রেস সাংসদ ভি এস উগ্রাপ্পাকে।
ওই ভিডিয়োয় সেলিমের সঙ্গে কথা বলতে দেখা যাচ্ছে উগ্রাপ্পাকে। সূত্রের খবর, মঙ্গলবার প্রদেশ কংগ্রেস দফতরে সাংবাদিক বৈঠক শেষ হওয়ার পরে সেলিম এবং উগ্রাপ্পার অজান্তে তাঁদের কথোপকথন রেকর্ড করা হয়েছিল। বুধবার সেই ভিডিয়ো টুইট করেন বিজেপি-র সর্বভারতীয় তথ্য-প্রযুক্তি সেলের আহ্বায়ক অমিত মালব্য।
ভিডিয়োর সেলিমকে বলতে শোনা যাচ্ছে, ‘আগে ৬ থেকে ৮ শতাংশ ছিল। এখন শিবকুমার এবং তাঁর সহযোগী ১২ শতাংশে বন্দোবস্ত করেছেন। এই করে ৫০ থেকে ১০০ কোটি টাকা কামিয়েছেন।’ ওই ভিডিয়োয় শিবকুমারকে ‘মদ্যপ’ বলেও চিহ্নিত করেছেন দুই কংগ্রেস নেতা।
মালব্য টুইটারে ওই ভিডিয়োটি পোস্ট করে লিখেছেন, ‘প্রাক্তন কংগ্রেস সাংসদ ভি এস উগ্রাপ্পা এবং কর্নাটক প্রদেশ কংগ্রেসের মিডিয়া সমন্বয়কারী এম কে সেলিম আলোচনা করছেন, কী ভাবে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি ডি কে শিবকুমার ঘুষ নেন। তাঁর ঘনিষ্ঠ সহযোগী ৫০ থেকে ১০০ কোটি টাকা সংগ্রহ করেছেন। কথা বলা সময় তিনি (শিবকুমার) কেমন মাতালদের মতো তোতলান তা-ও আলোচনায় এসেছে। চিত্তাকর্ষক!’
শিবকুমার ওই ভিডিয়ো বিষয়ে কোনও মন্তব্য করতে রাজি হননি। অন্য দিকে, প্রাক্তন সাংসদ উগ্রাপ্পা বলেন, ‘‘মঙ্গলবার সাংবাদিক বৈঠক শেষের পরে আমি এবং সেলিম আলোচনা করছিলাম, শিবকুমারের বিজেপি কী কী অভিযোগ আনছে। সেটাই রেকর্ড করে বিকৃত ভাবে উপস্থাপিত করা হয়েছে। আমরা কোনও অভিযোগ তুলিনি।’’