বিকে হরিপ্রসাদ। —ফাইল চিত্র।
কর্নাটক বিধান পরিষদের কংগ্রেস সদস্যে বিকে হরিপ্রসাদের বক্তব্য ঘিরে দানা বাঁধল রাজনৈতিক বিতর্ক। এআইসিসির প্রাক্তন মুখপাত্র হরিপ্রসাদ বুধবার বলেন, ‘‘পাকিস্তান বিজেপির কাছে শত্রু দেশ হতে পারে, আমাদের কাছে নয়।’’
হরিপ্রসাদের ওই মন্তব্যের পরেই বিধান পরিষদের বিজেপি সদস্যের প্রতিবাদে সরব হন। কিন্তু তাতে না দমে প্রাক্তন উপপ্রধানমন্ত্রী লালকৃষ্ণ আডবাণীর পাকিস্তান সফরের প্রসঙ্গ তোলেন তিনি। হরিপ্রসাদ বলেন, ‘‘আডবাণীজি পাকিস্তান সফরে গিয়ে সে দেশের প্রতিষ্ঠাতা মহম্মদ আলি জিন্নার সমাধি পরিদর্শন করেছিলেন। সেখানে তিনি বলেছিলেন, ‘জিন্নার মতো ধর্মনিরপেক্ষ ছিলেন না কোনও নেতা’! তখন কি পাকিস্তান শত্রু দেশ ছিল না?’’
মঙ্গলবার রাজ্যসভা ভোটে কর্নাটকে কংগ্রেসের তিন প্রার্থীর জয়ের পরে পাকিস্তান-পন্থী স্লোগান তোলা হয়েছিল বলে বিজেপির অভিযোগ। সেই প্রসঙ্গেই ওই মন্তব্য করেন প্রবীণ কংগ্রেস নেতা হরিপ্রসাদ। বিরোধী বিজেপি-জেডিএস জোটকে হারিয়ে রাজ্যসভা ভোটে কর্নাটকের তিনটি আসন দখল করে সে রাজ্যের শাসকদল কংগ্রেস। বিরোধী জোটের দখলে যায় একটি। তার পরেই ওই ঘটনা হয় বলে অভিযোগ।
কর্নাটকে পরিষদীয় পাটিগণিত অনুযায়ী চারটি আসনের মধ্যে কংগ্রেসের তিনটি এবং প্রধান বিরোধী দল বিজেপির একটিতে জেতার কথা ছিল। কিন্তু আর এক বিরোধী দল জেডিএসের সঙ্গে জোট বেঁধে দু’টি আসনে লড়তে নেমেছিল পদ্মশিবির। কিন্তু সেখানে ‘ক্রস ভোটিং’ বুমেরাং হয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর দলের। কংগ্রেসের প্রার্থীকে ভোট দেন প্রভাবশালী বিজেপি বিধায়ক তথা প্রাক্তন মন্ত্রী এসটি সোমশেখর গৌড়া।