(বাঁ দিকে) দেবরাজ। প্রজ্বল (ডান দিকে)। ছবি: সংগৃহীত।
প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী এইচডি দেবগৌড়ার নাতি তথা সাসপেন্ড হওয়া জেডিএস সাংসদ প্রজ্বল রেভান্নার ‘যৌন কুকীর্তি’ সংক্রান্ত ভিডিয়োর মামলায় পুলিশ গ্রেফতার করল কর্নাটকের বিজেপি নেতা দেবরাজ গৌড়াকে। শুক্রবার রাতে মামলায় দায়িত্বপ্রাপ্ত বিশেষ তদন্তকারী দল (সিট) দেবরাজকে গ্রেফতার করে বলে প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে।
সিট জানিয়েছে, দেবরাজের বিরুদ্ধে এক মহিলাকে যৌন হেনস্থার অভিযোগ রয়েছে। এপ্রিলের শেষ পর্বে প্রজ্বলের যৌন কুকীর্তির হাজার তিনেক ভিডিয়ো (আনন্দবাজার অনলাইন যার সত্যতা যাচাই করেনি) ভরা একটি পেন ড্রাইভ প্রকাশ্যে এনেছিলেন কর্নাটকের হাসন জেলার বিজেপি নেতা দেবরাজ। তিনি অভিযোগ করেন, গত পাঁচ বছর ধরে হাসনের সাংসদ প্রজ্বল কয়েক হাজার মহিলাকে ধর্ষণ এবং যৌন নির্যাতন করে সেই ভিডিয়ো নিজেই তুলে রাখতেন।
দেবরাজের অভিযোগ ছিল, প্রজ্বলকে মদত দিয়েছেন তাঁর বাবা তথা দেবগৌড়ার পুত্র এইচডি রেভান্নাও। এইচডিকে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করেছে কর্নাটক পুলিশের বিশেষ তদন্তকারী দল। তাঁর বিরুদ্ধে ছেলের যৌন নির্যাতনে মদত দেওয়া এবং মহিলাদের অপহরণের অভিযোগ আনা হয়েছে। কেন এমন করতেন দেবগৌড়ার নাতি? দেবরাজ বলেছিলেন, ‘‘নির্যাতিতাদের ব্ল্যাকমেল করাই উদ্দেশ্য ছিল প্রজ্বলের।’’ ঘটনার পরেই অবশ্য দেশ ছাড়েন দেবগৌড়ার নাতি।
ঘটনাচক্রে, কর্নাটকে এখন বিজেপির সহযোগী জেডিএস। ফলে দেবগৌড়া পরিবারের পাশাপাশি কংগ্রেস নিশানা করেছে পদ্মশিবিরকেও। সে রাজ্যে ভোট প্রচারে গিয়ে কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়ঙ্কা গান্ধী অভিযোগ তুলেছিলেন, মোদী সরকার প্রজ্বলকে বিদেশে পালিয়ে যাওয়ার সুযোগ করে দিয়েছে। রাহুল গান্ধী কটাক্ষ করেছেন লোকসভা ভোটের প্রচারে মোদীর মঞ্চে প্রজ্জ্বলের উপস্থিতি নিয়ে। তাঁর কূটনৈতিক পাসপোর্ট বাতিল করার সুপারিশ করে কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া চিঠি পাঠিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে।