অসহায়: উদ্ধার হওয়া ক্যাঙারু। নিজস্ব চিত্র
পাচারকারীদের কবল থেকে উদ্ধার করা হল একটি ক্যাঙারু। সঙ্গে বিরল প্রজাতির তিনটি কচ্ছপ, দুটি লজ্জাবতী বানর, ছ’টি কাকাতুয়াও। মায়ানমার, মিজোরাম হয়ে কাছাড়ের ওপর দিয়ে এদের অন্যত্র নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। বনকর্তারা জানিয়েছেন, ক্যাঙারু পাচারের ঘটনা ভারতে বিরলই বলা চলে। আর পাচারকারীদের কাছ থেকে উদ্ধার হওয়া এই প্রথম।
গ্রেফতার করা হয়েছে গাড়ির চালক ও খালাসিকে। ধৃত নরসিংহ রেড্ডি ও নবনাথ তুকারাম দাইগুডের বক্তব্য, তারা তামিলনাড়ু থেকে আলু নিয়ে মিজোরামে গিয়েছিলেন। ফেরার পথে দুই যুবক রাস্তায় গাড়ি দাঁড় করায় ও পশুপাখিগুলি গুয়াহাটিতে পৌঁছে দিতে বলে।
কার কাছে পৌঁছে দেওয়া কথা ছিল এগুলি? চালক নরসিংহের জবাব, “ওরা মোবাইল নম্বর দিয়ে বলেছিল, গুয়াহাটি গিয়ে ফোন করলেই মানুষ এসে নিয়ে যাবে।” পরে অবশ্য ওই মোবাইল নম্বরে ফোন করে বনকর্তারা কাউকে পাননি। মোবাইলটি ‘সুইচড অফ’ দেখাচ্ছিল।
পুলিশ জানিয়েছে, অসম-মিজোরাম সীমায় কাছাড় জেলার লায়লাপুরে গাড়িতে রুটিন তল্লাশি চলছিল৷ তখনই একটি লরিতে এই সব বন্যপ্রাণী দেখা যায়। কাছেই বনবিভাগের বিট অফিস। তাঁদের হাতে মামলাটি তুলে দেওয়া হয়।
ডিএফও সান্নিদেও চৌধুরী বলেন, “এটা বন্যপ্রাণী পাচারকারীদের আন্তর্জাতিক চক্রের অংশ। কচ্ছপ, লজ্জাবতী বাঁদর বিরল প্রজাতির হলেও তাদের বেশি করে ভাবাচ্ছে ক্যাঙারু পাচার৷ সন্ধ্যায় উদ্ধার হওয়া বন্যপ্রাণীগুলিকে নিয়ে গুয়াহাটি রওনা দিয়েছে বনকর্মীদের একটি দল৷ আপাতত সিদ্ধান্ত, সেখানে চিড়িয়াখানায় রাখা হবে এদের।