কামান সেতু দিয়ে আনা হল তরুণ-তরুণীর দেহ। ছবি: সংগৃহীত।
এক দিকে ভারতের জম্মু ও কাশ্মীর। অন্য দিকে পাকিস্তান। দুই দেশকে জুড়েছে কামান সেতু। ছ’বছর ধরে বন্ধ থাকার পরে শনিবার খোলা হল সেই সেতু। দুই দেশের সেনাবাহিনীর মধ্যে সৌহার্দ্য বিনিময়ের জন্য নয়, লাশ পরিবহণের জন্য। দিন পনেরো আগে ঝিলম নদীতে ঝাঁপ দিয়ে ভেসে গিয়েছিলেন এক তরুণ এবং এক তরুণী। তাঁদের দেহ মিলেছিল পাক অধিকৃত কাশ্মীরে। দুই দেশের সেনাবাহিনীর মধ্যে কথাবার্তার পরে পাকিস্তান থেকে কাশ্মীরের বারামুল্লার উরি সেক্টরে এই কামান সেতু ধরেই ফিরিয়ে আনা হল দু’জনের দেহ।
ভারতীয় সেনাবাহিনী জানিয়েছে, গত ৫ মার্চ বাসগ্রানের ২২ বছরের এক তরুণ এবং কামালকোটের ১৯ বছরের এক তরুণী ঝিলম নদীতে ডুবে গিয়েছিলেন। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, তাঁরা ঝাঁপ দিয়েছিলেন নদীতে। তাঁদের খোঁজে তল্লাশি শুরু করে ভারতীয় সেনাবাহিনী। নদীতে ভাসতে ভাসতে নিয়ন্ত্রণরেখা পেরিয়ে পাকিস্তানে চলে যায় দেহ দু’টি। এক বার কামান সেতুর কাছে ওই যুবকের দেহ দেখা গেলেও স্রোতের কারণে তা তোলা যায়নি। পাক অধিকৃত কাশ্মীরের চিনারি থেকে শেষ পর্যন্ত যুবকের দেহ উদ্ধার হয়। এক দিন আগে সেখান থেকেই উদ্ধার হয় তরুণীর দেহ।
এর পরেই পাকিস্তান থেকে ভারতে দেহ ফেরানোর বিষয়ে আলোচনা শুরু করে দুই দেশের সেনাবাহিনী। তার পরেই ছয় বছর পরে কামান সেতু খোলার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। মৃতদের পরিবার, জেলাশাসক, সেনাবাহিনীর আধিকারিকদের উপস্থিতিতে শনিবার কামান সেতু ধরে পাকিস্তান থেকে ভারতে ফেরানো হয় দু’জনের দেহ। ভারতীয় সেনা বিবৃতি দিয়ে জানায়, মানবিক ক্ষেত্রেই দু’জনের দেহ ফেরাতে দুই দেশের সেনা পারস্পরিক সহযোগিতার পথ নিয়েছে। তরুণীর আত্মীয় মহম্মদ রফি ভারতীয় সেনাকে ধন্যবাদ দিয়েছেন। তরুণের পরিবারও এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছে।