মাদুরাইয়ের সভায় কমল হাসন। ছবি: পিটিআই।
‘পিপলস জাস্টিস সেন্টার’ নামে দল গড়লেন তামিল সুপারস্টার কমল হাসন। আজ সন্ধেয় মাদুরাইয়ের ওথাকাদাই ময়দানে বিরাট জনসভা থেকে নতুন ইনিংস শুরু করলেন তিনি। তখন তাঁর পাশে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীবাল। আর রাজনীতিতে পা রেখেই পাঁচ দশকের তামিল সুপারস্টারের মন্তব্য, ‘‘সিনেমার তারা নই, আমি ঘরের প্রদীপ। ঝোড়ো হাওয়া থেকে আমাকে বাঁচানোর দায়িত্ব তামিলনাড়ুর মানুষের।’’
রাজনীতিতে তিনি যে আলাদা, আজ দিনভর সেই ভাবমূর্তি গড়ে তুলতে চেয়েছেন হাসন। তাই সফর শুরু করতে বেছে নিয়েছিলেন প্রয়াত এ পি জে আব্দুল কালামের বাড়িকে। কমল বলেন, ‘‘সাধারণ জীবনযাত্রার মধ্যে দিয়েই ভাল কিছু করা যায়। সে জন্যই নতুন পথে এগোতে এক মহান মানুষের সাধারণ বাসস্থানকে বেছে নিয়েছি।’’ সকালে রামেশ্বরমে প্রাক্তন রাষ্ট্রপতির বাসভবনে পৌঁছে কালামের পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন তিনি। তার পরেই যেতে চান মন্দাপমে কালামের স্কুলে। কিন্তু কালামকে নিয়ে তিনি ফায়দা নিতে চাইছেন বলে অভিযোগ এনে কিছু সংগঠন আপত্তি তোলে। জেলা প্রশাসনও কমলকে সেখানে যাওয়ার অনুমতি দেয়নি। দুপুরে মৎস্যজীবী সংগঠনের সঙ্গে আলোচনার পরে সন্ধেয় মাদুরাইয়ের সভা থেকে নতুন দলের নাম ও প্রতীক ঘোষণা করেন হাসন। ‘মাক্কল নিধি মাইয়ম’ বা ‘পিপলস জাস্টিস সেন্টার’ নামে তাঁর দলের পতাকায় লাল-সাদা হাতের বন্ধন, সাদা তারা। কমল বলেন, ‘‘এই দল মানুষের। ডান নয়, বাম নয়, আমরা চলব সোজা।’’
হাসনের রাজনীতিতে প্রবেশের সঙ্গেই বিভিন্ন প্রতিক্রিয়া সামনে এসেছে। বিজেপি নেত্রী তামিলশাই সুন্দরারাজনের মন্তব্য, ‘‘অন্য কারও সঙ্গে প্রতিযোগিতাতেই দল গড়লেন কমল।’’ তাঁর ইঙ্গিত সুপারস্টার রজনীকান্তের দিকে। কমলকে তির ছুড়েছে এডিএমকে, ডিএমকে। করুণানিধি-পুত্র এম কে স্ট্যালিনের মন্তব্য, ‘‘তারকারা আসলে কাগজের ফুল। কিছু সময় পরেই শেষ হয়ে যায়।’’ একমত এডিএমকেও। তবে কমল বলছেন, ‘‘ফুল নই, আমি বীজ। মাটিতে পুঁতুন, গাছ হয়ে উঠব।’’