ফাইল ছবি
জাতীয় রাজনীতিতে ‘গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা’ নেওয়ার চেষ্টা? না কি জাতীয় রাজনীতিতে নিজের গুরুত্ব দেখিয়ে ঘরের মাঠে ক্ষোভ সামাল দেওয়ার চেষ্টা? তাঁর প্রকৃত উদ্দেশ্য নিয়ে প্রশ্ন তোলার সুযোগ দিয়ে তেলঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাও ফের ভারত সফরে বেরোলেন।
শনিবার দিল্লিতে কে কেসিআর সমাজবাদী পার্টির প্রধান অখিলেশ যাদবের সঙ্গে বৈঠক করেন। রবিবার তিনি চণ্ডীগড়ে গিয়ে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীবাল ও পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ভগবন্ত মানের সঙ্গে বৈঠক করবেন। এর পর বেঙ্গালুরু গিয়ে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী এইচ ডি দেবেগৌড়ার সঙ্গেও বৈঠক করবেন। চলতি মাসের শেষে পশ্চিমবঙ্গ, বিহারেও যাওয়ার কথা তাঁর। যদিও সে সময়ে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বৈঠক হবে কি না, এখনও স্পষ্ট নয়।
অতীতে ‘ফেডেরাল ফ্রন্ট’-এর ডাক দিয়ে কেসিআর মাঠে নেমেছিলেন। অভিযোগ উঠেছিল, তিনি বিজেপির হয়ে বিরোধী শিবিরে ভাঙন ধরাতে নেমেছেন। ইদানিং কেসিআর বলছেন, বিকল্প ফ্রন্ট নয়। তিনি বিকল্প নীতির পক্ষে। বিরোধী শিবিরের হয়ে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে প্রার্থী দেওয়া নিয়ে তাঁর সঙ্গে উত্তরপ্রদেশ ভোটের আগে তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথা হয়েছিল। এর পর মুম্বই গিয়ে শরদ পওয়ার, উদ্ধব ঠাকরের সঙ্গেও বৈঠক করেছিলেন কেসিআর।
তেলঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রীকে ফের আঞ্চলিক দলের সঙ্গে বৈঠক করতে দেখে রাজ্যের কংগ্রেস নেতারা বলছেন, আগামী বছর তেলঙ্গানায় বিধানসভা নির্বাচন। মানুষের ক্ষোভ জমেছে। কেসিআর-এর পরিবারের বিরুদ্ধে বহু দুর্নীতির অভিযোগ। কেসিআর এখন তাই দিল্লির রাজনীতিতে বড় ভূমিকা নেবেন বলে রাজ্যের মানুষের সমর্থন পেতে চাইছেন। বাস্তবে তিনিও জানেন, তেলঙ্গানার লোকসভা আসনের সংখ্যা মাত্র ১৭টি। খুব বেশি হলে ৯-১০ জন সাংসদ নিয়ে তেলঙ্গানা রাষ্ট্র সমিতি জাতীয় রাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে পারবে না। তেলঙ্গানায় কংগ্রেস তেলঙ্গানা রাষ্ট্র সমিতির সঙ্গে জোট করবে না বলেও সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
অখিলেশ যাদবের সঙ্গে বৈঠকের পরে কেসিআর-এর দফতর আজ জানিয়েছে, দুই নেতার মধ্যে সাম্প্রতিক জাতীয় রাজনীতি নিয়ে কথা হয়েছে। রবিবার চণ্ডীগড়ে কেসিআর কেজরীবাল-মানের সঙ্গে কৃষক আন্দোলনে নিহত কৃষকদের পরিবারকে অর্থসাহায্য দেবেন। কংগ্রেস নেতাদের মন্তব্য, কেসিআর-এর রাজত্বের আট বছরে তেলঙ্গানায় ৮,৪০০ জন চাষি আত্মহত্যা করেছেন, আগে তাঁদের ক্ষতিপূরণ দেওয়া হোক।