India-Myanmar Relationship

সম্পর্ক নষ্ট করবেন না, ভারতকে মায়ানমার

মায়ানমারের দাবি, ভারতে অন্তর্ভুক্তির জন্য মিজ়োরামের মুখ্যমন্ত্রী লালডুহোমা চিন বিদ্রোহী গোষ্ঠীকে উস্কে দিয়েছেন। মণিপুরের বিজেপি সাংসদ মহারাজা সানাজাউবা লেইসেম্বাও মায়ানমারের কাবউ উপত্যকাকে তাঁর রাজ্যে নিয়ে যাওয়ার দাবি তুলেছেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৬ মার্চ ২০২৫ ০৮:১৭
Share:

ছবি: সংগৃহীত।

নিজেদের স্বার্থসিদ্ধির জন্য এমন কিছু করবেন না যা দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক নষ্ট করে দিতে
পারে। উত্তর-পূর্বের রাজনীতিকদের একাংশকে এই ভাষাতেই সতর্ক করল মায়ানমারের জুন্টা সরকার। মণিপুর ও মিজ়োরামের নেতাদের একাংশ মায়ানমারের বিভিন্ন অঞ্চল তাঁদের রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত করার জন্য উঠেপড়ে লেগেছেন বলে দাবি মায়ানমারের। এই রিপোর্টের প্রেক্ষিতেই জুন্টা সরকারের মুখপাত্র মেজর জেনারেল জৌ মিন টোন মায়ানমারের সার্বভৌমত্বের কথা মনে করিয়ে দেন তাঁদের। সম্প্রতি মিজ়োরামে বৈঠক করেন চিন জনগোষ্ঠীর জঙ্গি নেতারা।

Advertisement

মায়ানমারের দাবি, ভারতে অন্তর্ভুক্তির জন্য মিজ়োরামের মুখ্যমন্ত্রী লালডুহোমা চিন বিদ্রোহী গোষ্ঠীকে উস্কে দিয়েছেন। মণিপুরের বিজেপি সাংসদ মহারাজা সানাজাউবা লেইসেম্বাও মায়ানমারের কাবউ উপত্যকাকে তাঁর রাজ্যে নিয়ে যাওয়ার দাবি তুলেছেন।
লালডুহোমা অবশ্য প্রকাশ্যেই ভারত, বাংলাদেশ ও মায়ানমারের জো জনগোষ্ঠী অধ্যুষিত অঞ্চলগুলিকে এক প্রশাসনিক কাঠামোয় আনার দাবিতে সক্রিয় রয়েছেন। গত সেপ্টেম্বরে আমেরিকা সফরে গিয়েও মিজ়োরামের মুখ্যমন্ত্রী প্যান-জো জনগোষ্ঠী গঠনের কথা বলে এসেছেন। এই প্রেক্ষিতেই তিনি ভারত-মায়ানমার সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণের বিরোধী। তাঁর কথায়, ব্রিটিশরা জো জনগোষ্ঠীকে নানা দেশ ও রাজ্যে বিভাজিত করে গিয়েছে। এখন কাঁটাতারের বেড়ার বদলে বরং সেই বিভাজন মেটানোর পথে হাঁটতে হবে। গত মাসে লালডুহোমার উদ্যোগেই চিরশত্রু হিসেবে পরিচিত মায়ানমারের দুই চিন বিদ্রোহী গোষ্ঠী জোটবদ্ধ হয়। চিনল্যান্ড কাউন্সিল এবং ইন্টারিম চিন ন্যাশনাল কনসালটেটিভ কাউন্সিল মিলে গঠিত হয় চিন ন্যাশনাল কাউন্সিল। যদিও ভারতের বিদেশ মন্ত্রক জানিয়ে দিয়েছে, এ সব বিষয় রাজ্য সরকারের আওতায় পড়ে না।

অন্য দিকে সংসদের চলতি বাজেট অধিবেশনে বিজেপি সাংসদ সানাজাউবা দাবি করেন, মায়ানমারের কাবউ উপত্যকা মণিপুর রাজার অধীনে ছিল। ১৯৫৩ সালে প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরু একে মায়ানমার তথা তৎকালীন বর্মার হাতে তুলে দিয়েছিলেন। তিনি তখন না নিয়েছিলেন সংসদের অনুমোদন, না কথা বলেছিলেন মণিপুরের সঙ্গে। ইয়ান্ডাবু সন্ধি এবং কাবউ উপত্যকা চুক্তি লঙ্ঘন করেই নেহরু এই কাজ করেছিলেন বলে সানাজাউবা অভিযোগ করেন।

Advertisement

এ সবের প্রেক্ষিতে জুন্টা সরকার নাম উল্লেখ না করেও তাদের সতর্ক করে দেন, দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক নষ্টের কথাও শুনিয়ে রাখেন। মায়ানমারের ভারতীয় দূতাবাস অবশ্য এখনও এ ব্যাপারে কোনও প্রতিক্রিয়া জানায়নি।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement