জেডিইউ দফতর ভরে গিয়েছে কর্মী-সমর্থকদের ভিড়ে। ছবি: উজ্জ্বল চক্রবর্তী।
উল্লাস শুরু হয়ে গেল মহাজোট শিবিরে।
সকাল ৯টাতেও প্রায় শুনসান ছিল মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের বাসভনের সামনেটা। জেডিইউ সদর দফতরের হালও প্রায় সে রকমই। লালুর দল আরজেডির দফতর তখন প্রায় হানাবাড়ি।
ঠিক দু’ঘণ্টা কেটেছে আগের ছবিটা দেখার পর। অর্থাৎ বেলা ১১টা। নীতিশের বাংলোর মেইন গেটটা আর দেখাই যাচ্ছে না। লোকে লোকারণ্য হয়ে গিয়েছে ঘণ্টাখানেক আগেই শুনসান হয়ে থাকা জায়গাটা। লাড্ডু বিলি চলছে, আবির উড়ছে, রাস্তায় বিছিয়ে আগুন দেওয়া হচ্ছে পটকার সলতেয়। ধুন্ধুমার উল্লাস।
লালুর বাংলোর সামনেও একই ছবি। বহু বছর পর রাষ্ট্রীয় জনতা দলের কর্মীদের এত উল্লাস পটনার বুকে। নীতীশ জমানা শুরুর পর থেকেই একের পর এক ভোটে ক্রমশ কমতে থেকেছে আরজেডি’র গণভিত্তি। এ বার নীতীশ-লালু হাত ধরাধরি করে লড়াইয়ের ময়দানে। আর তাতেই বহুদিন পর রাজ্যের নানা প্রান্ত থেকে আরজেডি প্রার্থীদের জয়ের খবর আসতে শুরু করেছে। ফলে লালুর বাড়ির সামনে বাঁধনাহারা উল্লাস। আরজেডি’র অনেক কর্মী আবার গাড়িতে চেপে লণ্ঠন আঁকা ঝান্ডা উড়িয়ে আত্মহারা উল্লাসে গোটা পটনায় ছুটে বেড়াচ্ছেন।
এখন শুধুই উল্লাস। নতুন সরকার গড়া কয়েক দিনের অপেক্ষা মাত্র।