বিজেপি সভাপতি জে পি নড্ডা। —ফাইল চিত্র।
কৃষি আইন ঘিরে বিতর্কের সময় থেকেই বিজেপি থেকে মুখ ঘুরিয়েছে শিখ সমাজ। যার ফলে পঞ্জাব বিধানসভা নির্বাচনে হালে পানি পায়নি নরেন্দ্র মোদীর দল। এই আবহে শিখ সমাজের উন্নতির লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী মোদী গত নয় বছরে কী ধাঁচের পদক্ষেপ করেছেন, তা নিয়ে ‘শিখস অ্যান্ড মোদী’-নামে বই প্রকাশ করলেন বিজেপি সভাপতি জে পি নড্ডা। তাঁর দাবি, গোড়া থেকেই শিখ সমাজের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর একটি বিশেষ সম্পর্ক রয়েছে।
তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে গত কালই খলিস্তানপন্থীদের সমর্থনে পোস্টার পড়েছিল দিল্লির একাধিক মেট্রো স্টেশনে। দেশের বাইরে খলিস্তানপন্থীরা সাম্প্রতিক কালে সরব হলেও, জি ২০ শীর্ষ বৈঠকের ঠিক আগে খাস রাজধানীতে এ ধরনের পোস্টারে নড়চড়ে বসেছে দিল্লি পুলিশও। এই পরিস্থিতিতে আজ ওই বই প্রকাশ অনুষ্ঠানে ১৯৮৪ সালের শিখ দাঙ্গার প্রসঙ্গ টেনে আনেন নড্ডা। তাঁর দাবি, গত তিন দশকের বেশি সময় ধরে শিখ দাঙ্গা মামলার কোনও ফয়সালা হয়নি। কিন্তু নরেন্দ্র মোদী ক্ষমতায় এসেই মামলার তদন্তে গতি আনতে বিশেষ তদন্তকারী দল গঠন করেন। যার ফলে দোষীরা সাজা পেতে শুরু করেছেন। পাশাপাশি আফগানিস্তানে তালিবান শাসন শুরু হওয়ায় কী ভাবে সেখানকার স্থানীয় শিখ নাগরিকদের এবং গুরু গ্রন্থসাহিব-কে মাথায় করে নিয়ে আসা হয়েছিল, তা নিয়েও সরব হন নড্ডা। মোদী যে শিখেদের পাশে রয়েছেন তা বোঝাতে লালকেল্লায় গুরু তেগ বাহাদুরের ৪০০ তম জন্মজয়ন্তী পালন থেকে হেমকুণ্ড সাহিবের যাওয়ার রাস্তা সুগম করার কৃতিত্ব মোদীর সরকারকে দিলেন নড্ডা।