সিওয়ানের সাংবাদিক রাজদেও রঞ্জনের হত্যাকাণ্ডের রেশ এখনও টাটকা। তার মধ্যেই ফের আততায়ী হানায় বিহারে মৃত্যু হল আরও এক সাংবাদিকের। সন্দেহের তির পাথর-মাফিয়াদের দিকে।
আজ সকালে সাসারামের মফস্সল থানা এলাকায় ঘটনাটি ঘটে। পুলিশ জানিয়েছে, নিহতের নাম ধর্মেন্দ্র কুমার। তিনি ‘দৈনিক ভাস্কর’ সংবাদপত্রের ঔরঙ্গাবাদের প্রতিনিধি ছিলেন। দীর্ঘদিন ধরে জেলার পাথর মাফিয়াদের বিরুদ্ধে সরব ছিলেন সাংবাদিক ধর্মেন্দ্র।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে খবর, এ দিন সকালে অমরা তালাব এলাকায় বাড়ির কাছে একটি একটি চায়ের দোকানে গিয়েছিলেন ওই সাংবাদিক। সেখানে বসে খবরের কাগজ পড়ছিলেন। আচমকা একটি মোটরসাইকেলে তিন যুবক সেখানে যায়। খুব কাছ থেকে ধর্মেন্দ্রর বুকে তিনটি গুলি চালিয়ে তারা পালায়। রক্তাক্ত অবস্থায় ধর্মেন্দ্রকে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে তাঁকে বারাণসীর একটি হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হচ্ছিল। মাঝপথেই তাঁর মৃত্যু হয়।
ডাকাবুকো স্বভাবের ধর্মেন্দ্র পরোপকারী হিসেবে এলাকায় পরিচিত ছিলেন। তাঁর এমন পরিণতিতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে। পটনার সাংবাদিকদের কাছেও জনপ্রিয় ছিলেন ধর্মেন্দ্র। পুলিশ জানিয়েছে, তদন্ত শুরু করা হয়েছে। এলাকায় তল্লাশি চলছে।
সম্প্রতি সিওয়ানে একই ভাবে খুন হন সাংবাদিক রাজদেও রঞ্জন। একটি হিন্দি দৈনিকের ‘ব্যুরো চিফ’ ছিলেন তিনি। ওই ঘটনায় অভিযোগের আঙুল উঠেছিল আরজেডি নেতা শাহাবুদ্দিনের দিকে। তদন্তে নেমে পুলিশ শাহাবুদ্দিন ঘনিষ্ঠদের গ্রেফতার করে। পরে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে তদন্তভার নেয় সিবিআই।
পুলিশ জানিয়েছে, ধর্মেন্দ্রকে খুনের হুমকি দিয়েছিল পাথর মাফিয়ারা। বিষয়টি পুলিশকেও জানিয়েছিলেন তিনি। ডিআইজি (শাহবাদ রেঞ্জ) মহম্মদ রহমান জানান, বিশেষ তদন্তকারী দল গঠন করা হয়েছে। অপরাধীদের খোঁজ চলছে। ধর্মেন্দ্রের বাবা অবধেশ সিংহ বলেন, ‘‘বাড়ি থেকে বের হওয়ার সময়ে ফোনে কারও সঙ্গে কথা বলছিল। বচসা হচ্ছিল। কেন এমন হল বুঝতে পারছি না।’’
মাস পাঁচেক আগে বিহারের নালন্দা জেলায় একটি সংবাদমাধ্যমের দফতরে ঢুকে এক সাংবাদিককে খুনের হুমকি দিয়েছিল পাথর মাফিয়ারা। গয়াতে এক সাংবাদিকের বাড়িতে বোমাবাজি করা হয়। প্রতিক্ষেত্রে পুলিশ অভিযোগ দায়ের করে তদন্ত করলেও কাজের কাজ যে কিছু হয়নি, ধর্মেন্দ্র খুনের ঘটনায় আর এক বার তার প্রমাণ মিলল।