বহু নাবালককে তার যৌন লালসার শিকার বানিয়েছে হেম্মাডি। প্রতীকী ছবি।
সংবাদপত্রের খবর সংগ্রহ করার অছিলায় গ্রামাঞ্চলের নাবালক পড়ুয়াদের ছবি তুলত। কখনও তা ঠিকানা খোঁজার নাম করে তাদের নির্জনে টেনে নিয়ে যেত। বছর ছয়েক ধরে এ ভাবেই অন্তত ২১ জন নাবালকের উপর যৌন নির্যাতন চালিয়েছে সে। কর্নাটকের এক সাংবাদিকের বিরুদ্ধে এমনটাই অভিযোগ। অভিযুক্তকে গ্রেফতারির পর সোমবার তার পুলিশি হেফাজতের মেয়াদ বাড়ানোর নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্ত সাংবাদিকের নাম চন্দ্র কে হেম্মাডি। কর্নাটকের একটি বহুলপ্রচারিত সংবাদপত্রে কাজ করত সে। উদিপি অঞ্চলের ২১ জন নাবালকের উপর যৌন নির্যাতনের অভিযোগে তার বিরুদ্ধে পকসো (প্রোটেকশন অব চিলড্রেন ফ্রম সেক্সুয়াল অফেন্সেস) আইনে মামলা রুজু করা হয়েছে। ঘটনার কথা জানাজানি হতেই তাকে ছাঁটাই করেছেন সংশ্লিষ্ট সংবাদপত্র কর্তৃপক্ষ।
ঠিক কী ভাবে নাবালকদের নিজের যৌন লালসার শিকার বানাত হেম্মাডি? পুলিশ সূত্রে খবর, ২০১২ থেকে উদিপির বাইনুর অঞ্চলে বহু গ্রামের স্কুলে যাতায়াত শুরু করে সে। এলাকার বিভিন্ন ইস্যুভিত্তিক খবর সংগ্রহ করার জন্য তার গ্রামে আসা বলে জানাত সে। যদিও পুলিশের দাবি, খবর সংগ্রহের অজুহাতে গ্রামাঞ্চলের নাবালক, তাদের পরিবার বা শিক্ষিক-শিক্ষিকার আস্থা অর্জন করাই ছিল তার প্রাথমিক লক্ষ্য। তাদের থেকেই ওই নাবালকদের বাড়ির ঠিকানা সংগ্রহ করত সে। এর পর সংবাদপত্রে ছাপানোর অজুহাতে নাবালকদের একাধিক ছবি তুলত হেম্মাডি। কখনও বা ঠিকানা খোঁজার নাম করে নাবালকদের নিজের সঙ্গে নির্জনে নিয়ে যেত। এ ভাবেই বহু নাবালককে তার যৌন লালসার শিকার বানিয়েছে হেম্মাডি। ওই নাবালকদের মুখ বন্ধ রাখারও হুমকি দিত সে।
(আজকের তারিখে গুরুত্বপূর্ণ কী কী ঘটেছিল অতীতে, তারই কয়েক ঝলক দেখতে ক্লিক করুন— ফিরে দেখা এই দিন।)
বাইনুরের এক শীর্ষ পুলিশ আধিকারিক বলেন, “গত চার-পাঁচ দিনে হেম্মাডির বিরুদ্ধে ওই ২১টি কেসের কথা সামনে এসেছে। নির্যাতিতদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করে এ বিষয়ে তাদের লিখিত অভিযোগ দায়ের করতে বলা হয়েছে। প্রতিটি কেসেই অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। এর মধ্যে বাইনুর থানায় ১৬টি, গাঙ্গোলি থানায় ৩টি, কন্নুরু এবং কুন্ডাপুরায় ১টি করে কেসে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।” ওই আধিকারিকের দাবি, “জেরার মুখে পড়ে ২১টি কেসেই নিজের অপরাধ স্বীকার করেছে হেম্মাডি।” এর মধ্যে কয়েকটি ঘটনা ২০১৩ সালে ঘটেছে।
আরও পড়ুন: গো-হত্যার গুজবে উত্তপ্ত বুলন্দশহর, বিক্ষোভের বলি এক ইনস্পেক্টর-সহ ২
আরও পড়ুন: গাড়ির ইঞ্জিন আমিই হব, হাঁটতে হাঁটতেই জবাব দিলেন হায়দরাবাদের ‘হিরো’
বাইনুর পুলিশের ধারণা, আপাতত ২১টি ঘটনার কথা জানাজানি হলেও ওই সংখ্যাটা আরও বাড়তে পারে। হেম্মাডির লালসার শিকার ওই নাবালকদের কাউন্সিলিংয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
আরও পড়ুন: যৌন নির্যাতন করে তরুণীর গায়ে আগুন ধরিয়ে দিল অভিযুক্তরা
তিন দিন পুলিশি হেফাজতে থাকার রাখার পর এ দিন হেম্মাডিকে ডিস্ট্রিক্ট ম্যাজিস্ট্রেটের এজলাসে তোলা হয়। আগামী ১৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত তার পুলিশি হেফাজতের মেয়াদ বাড়ানোর নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
(দেশজোড়া ঘটনার বাছাই করা সেরাবাংলা খবরপেতে পড়ুন আমাদেরদেশবিভাগ।)