ডোকলামের অচলাবস্থার জেরে কার্যত ভেস্তে যেতে বসেছে বার্ষিক ভারত-চিন যৌথ সামরিক মহড়া। চলতি বছরের শেষে বেজিংয়ে এই মহড়া হওয়ার কথা ছিল।
গত পাঁচ বছর ধরে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক যে মসৃণ থেকেছে এমন নয়। কিন্তু পরিস্থিতি কখনও এমন পর্যায়েও পৌঁছয়নি যে দু’দেশের পূর্বনির্ধারিত নির্দিষ্ট কর্মসূচিগুলি বাতিল করে দিতে হয়েছে। ২০১২ থেকে গত বছর পর্যন্ত এক বার ভারত, অন্য বার চিনে এই যৌথ সেনা মহড়া অনুষ্ঠিত হয়ে এসেছে। গত বছর পুণেয় হওয়ার পরে এ বার মহড়া হওয়ার কথা ছিল নভেম্বরে বেজিংয়ে। তার আগে জুলাইয়ে মহড়া নিয়ে দু’দেশের কর্তাদের বৈঠক নির্ধারিত ছিল। কিন্তু সেই বৈঠকের নামগন্ধও করেনি চিন। ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রকও বিষয়টি নিয়ে এগোয়নি। সূত্রের খবর, এ বছর হয়তো হচ্ছেই না মহড়া।
ভারত এবং চিনের মধ্যে আস্থাবর্ধক পদক্ষেপ হিসাবে ২০০৭ এ এই মহড়া শুরু হলেও ২০০৯-এ তা বন্ধ হয়ে যায়। কাশ্মীরিদের জন্য চিনের স্টেপল ভিসা দেওয়ার সিদ্ধান্ত, সীমান্ত অনুপ্রবেশ— ইত্যাদির জন্য মহড়া বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল তৎকালীন মনমোহন সরকার। কিন্তু ২০১২ সালে তা ফের চালু হয়।
ভারতীয় সেনা ডোকলাম না-ছাড়লে ছোট মাপের সেনা অভিযানের হুঙ্কার ইতিমধ্যেই দিয়েছে বেজিং। চিন সফররত ভারতীয় সাংবাদিকদের আজ চিনা সেনা বাহিনী-র পক্ষে সিনিয়র কর্নেল লি জানিয়েছেন, ‘‘ভারতীয় সেনা যা করেছে তা চিনের ভূখণ্ডে আগ্রাসন। সেনা হিসেবে আমাদের কাজ দেশকে রক্ষা করা। সেই শক্তি এবং সংকল্প আমাদের রয়েছে।’’