কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজে শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে সংরক্ষণ নিয়ে ইউজিসি-র নিয়ম খারিজ করে দিল সুপ্রিম কোর্ট। কেন্দ্রীয় মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রক ও ইউজিসি-র আর্জি খারিজ করে সুপ্রিম কোর্ট আজ ইলাহাবাদ হাইকোর্টের রায় বহাল রাখল। ৬ হাজার শূন্য পদ পূরণের বাধা দূর হল এতে। তবে তফসিলি এবং ওবিসি প্রার্থীদের আশঙ্কা, এতে তাঁদের চাকরির সুযোগ কমবে।
তফসিলি জাতির জন্য ১৫%, তফসিলি জনজাতির জন্য ৭.৫% ও অন্যান্য অনগ্রসর শ্রেণি তথা ওবিসি-র জন্য ২৭% পদ সংরক্ষিত থাকে। ইউজিসি গোটা বিশ্ববিদ্যালয়ের একই যোগ্যতা, বেতন ও মর্যাদার সব পদ মিলিয়ে ওই অনুপাত কার্যকর করলে এর বিরুদ্ধে জনস্বার্থ মামলা করেন বেনারস হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র বিবেকানন্দ তিওয়ারি। উচ্চ আদালত জানায়, এতে এক বিভাগে সব সাধারণ শ্রেণির শিক্ষক থাকবেন।অন্য বিভাগে
থাকবেন সংরক্ষিত শ্রেণির শিক্ষকেরা। তাই প্রতিটি বিভাগের জন্য আলাদা করে সংরক্ষণের সমীকরণ (১৫:৭.৫:২৭) মানতে হবে। আজ শীর্ষ আদালতও জানিয়েছে, বিভাগকেই একক ধরতে হবে। বেঞ্চের মন্তব্য, ‘‘অ্যানাটমি ও ভূগোলের শিক্ষকদের একই শ্রেণিতে ফেলা যায় না। আপনারা কি কমলালেবু ও আপেলকে এক শ্রেণিতে ফেলতে চান?’’
তবে বিভাগ ধরে ‘কোটা’ পূরণ করতে গেলে একটি বিষয়ে সংরক্ষিত প্রার্থী না-ও পাওয়া যেতে পারে। যে কোনও বিভাগেই ওই শ্রেণির প্রার্থী নিয়োগ করে সংরক্ষণের মোট লক্ষ্যমাত্রা পূরণের পথ থাকবে না। কিছু পদ শূন্যই থেকে যাবে। তা ছাড়া ইউজিসি-র নিয়মে কোনও বিভাগে পদ শূন্য হলেই সংরক্ষিত প্রার্থীদের নিয়োগ করা যেত। এখন সেটি হবে না। আগে কোনও বিভাগের সব পদ অংসরিক্ষত প্রাথী দিয়ে পূরণ করা হয়ে গিয়ে থাকলে, তাঁদের একাংশ অবসর না নেওয়া পর্যন্ত সেই বিষয়ে সংরক্ষিত শ্রেণির প্রার্থীর জন্য দরজা খুলবেনা। ফলে সংরক্ষিত শ্রেণির প্রার্থীদের আশঙ্কা, এই মুহূর্তে তাঁদের চাকরির সুযোগ কিছুটা কমে যাবে এই রায়ে।