জেএনইউ-এর ছাত্রদের সমর্থনে বিক্ষোভ।—পিটিআই।
জেএনইউ ক্যাম্পাসে পড়ুয়াদের সঙ্গে মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রকের গড়া উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন কমিটির বৈঠক হল ঠিকই। কিন্তু রফা সূত্র মিলল না। উল্টে কেন্দ্রের প্রতিনিধিদলের বৈঠকে বসতে আসাটাকেই ‘নিছক লোকদেখানো প্রচেষ্টা’ বললেন বাম ছাত্র নেতাদের একাংশ। বর্ধিত ফি পুরোপুরি প্রত্যাহারের দাবিতে ক্যাম্পাসে এ দিন থেকে অবস্থান-বিক্ষোভ শুরু করল সঙ্ঘ ঘনিষ্ঠ ছাত্র সংগঠন এবিভিপি-ও। সব মিলিয়ে, জট বহাল জেএনইউয়ে।
বর্ধিত ফি প্রত্যাহার-সহ একগুচ্ছ দাবিতে আগামিকাল মান্ডি হাউস থেকে সংসদ পর্যন্ত পদযাত্রার ডাক দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের বাম ছাত্র সংগঠন। শামিল হতে আহ্বান জানিয়েছে সাধারণ মানুষকে। তার আগে আজ বিকেলে ক্যাম্পাসে পড়ুয়াদের সঙ্গে কথা বলতে যান কমিটির সদস্যরা। সেই প্রসঙ্গে এআইএসএ-র প্রেসিডেন্ট এন সাই বালাজির দাবি, ‘‘এই বৈঠক করতে আসাটা কেন্দ্রের তরফে স্রেফ লোকদেখানো প্রচেষ্টা। কমিটির প্রতিনিধিরা আমাদের দাবি মানার মতো কোনও আশ্বাস দিতে পারেননি। তাই আমরাও জানিয়েছি, আন্দোলন চলবে।’’ এবিভিপি-র প্রেসিডেন্ট সুজিত শর্মা আবার বলেন, ‘‘সমস্ত পড়ুয়ার জন্য ফি আগের জায়গায় ফিরে না-যাওয়া পর্যন্ত আমরা অবস্থান-বিক্ষোভ চালিয়ে যাব।’’ সরকার এ নিয়ে খুব বেশি দেরি করলে তাঁরা অনশনের পথেও হাঁটতে পারেন বলে দাবি করেন তিনি।
জেএনইউয়ের আন্দোলন নিয়ে উত্তাল সোশ্যাল মিডিয়া। মনমোহন সিংহ প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন তাঁর মিডিয়া উপদেষ্টার দায়িত্ব সামলানো সঞ্জয় বারু সম্প্রতি আন্দোলনকারীদের পাশে দাঁড়িয়েছেন। সমর্থন জানিয়েছেন পাতিদার নেতা হার্দিক পটেল। কথা গড়িয়েছে সংসদেও। কিন্তু সমাধান সূত্র এখনও অধরা।