National News

জিগ্নেশের নিশানায় মোদী, দিল্লির বুকে যুব র‌্যালির ডাক

সরাসরি মোদীকে নিশানা করেন জিগ্নেশ। তিনি বলেন, ‘‘যদি দলিতদের উপর অত্যাচার চলতে থাকে এবং আমার সুনাম নষ্ট করার চেষ্টা অব্যাহত থাকে, তা হলে ২০১৯ সালে আপনাকে আমরা উচিত শিক্ষা দিয়ে দেব প্রধানমন্ত্রী।’’

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০৫ জানুয়ারি ২০১৮ ২০:৩৯
Share:

তাঁকে ভয় পাচ্ছে বিজেপি এবং আরএসএস— দলিত নেতা জিগ্নেশ এমনই দাবি করলেন শুক্রবার। ছবি: পিটিআই।

মহারাষ্ট্রের দলিত বিক্ষোভ ইস্যুতে সরাসরি প্রধানমন্ত্রীকে প্রশ্নের মুখে দাঁড় করালেন জিগ্নেশ মেবাণী। দলিত নেতা তথা গুজরাত বিধানসভার সদস্য জিগ্নেশ শুক্রবার সাংবাদিক বৈঠক করলেন নয়াদিল্লিতে। বললেন, এ দেশে শান্তিপূর্ণ সমাবেশ বা বিক্ষোভ করার অধিকার দলিতদের রয়েছে কি না, প্রধানমন্ত্রীকে তার জবাব দিতে হবে।

Advertisement

১ জানুয়ারি পুণে জেলার কোরেগাঁওতে হিংসাত্মক ঘটনা এবং তার জেরে দলিত বিক্ষোভে টানা তিন দিন উত্তাল ছিল মহারাষ্ট্র। ৩১ ডিসেম্বর পুণেতে যে ভাষণ দিয়েছিলেন দলিত নেতা জিগ্নেশ, তা ছিল প্ররোচনামূলক এবং তার জেরেই হিংসা ছড়িয়েছে— গুজরাত বিধানসভার নবনির্বাচিত সদস্যের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগই দায়ের হয়েছে মহারাষ্ট্রে।

জিগ্নেশ এ দিন সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেছেন, ‘‘আমি সে দিন এমন একটা শব্দও বলিনি, যা উত্তেজনা ছড়াতে পারে। আমি একজন প্রশিক্ষিত আইনজীবী, আমি আইনকে সম্মান করি, এখন আমি একজন আইন প্রণেতাও।’’ তাঁর বিরুদ্ধে যে সব অভিযোগ আনা হয়েছে, সে সব আসলে তাঁকে জব্দ করার ‘শিশুসুলভ চেষ্টা’, বলেছেন জিগ্নেশ। তিনি বলেছেন, ‘আমার ক্রমবর্ধমান জনপ্রিয়তা’ দেখে বিজেপি এবং আরএসএস ভয় পেয়েছে। ‘‘গুজরাতে ১৫০টা আসন পাবে বলে ভেবেছিল, কিন্তু পেয়েছে ৯৯টা, ... ২০১৯ সালের সাধারণ নির্বাচনে কী হবে, এখন বিজেপি তা ভেবেই ভয় পাচ্ছে, সেই কারণেই ওরা আমাকে আক্রমণ করছে।’’ মন্তব্য জিগ্নেশের।

Advertisement

আরও পড়ুন: ফেরার মোদীর ‘গুরু’, হিংসা ছড়াচ্ছে প্রতিবেশী রাজ্যেও

এর পরেই সরাসরি মোদীকে নিশানা করেন জিগ্নেশ। তিনি বলেন, ‘‘যদি দলিতদের উপর অত্যাচার চলতে থাকে এবং আমার সুনাম নষ্ট করার চেষ্টা অব্যাহত থাকে, তা হলে ২০১৯ সালে আপনাকে আমরা উচিত শিক্ষা দিয়ে দেব প্রধানমন্ত্রী।’’

আরও পড়ুন: এনআরসি: পাল্টা তোপ মমতাকে

জাত-পাত প্রথার অবলুপ্তির লক্ষ্যে মোদী আদৌ পদক্ষেপ করতে চান কি না, এ দিন জিগ্নেশ সে প্রশ্নও তুলেছেন। ‘‘আমাদের প্রধানমন্ত্রী তো একজন স্বঘোষিত অম্বেডকর অনুগামী, তিনি চুপ কেন? ... দলিতরা ভারতে নিরাপদ নন কেন? জাত-পাত প্রথার অবলুপ্তি ঘটাতে কি তিনি আদৌ প্রতিজ্ঞাবদ্ধ, ...যা অম্বেডকরের চূড়ান্ত লক্ষ্য ছিল?’’ প্রশ্ন তুলেছেন জিগ্নেশ।

৯ জানুয়ারি রাজধানীর বুকে যুব র‌্যালির আয়োজন হচ্ছে। তাঁর ঘোষণা, ‘‘আমরা মনুস্মৃতি ও সংবিধান হাতে নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর দফতরে যাব এবং তাঁর কাছে জানতে চাইব, কোনটা তাঁর পছন্দ।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement