নতুন নীতিতে পর্যটকদের জন্য রয়েছে অনেক চমক।
যা নেই, তা নয়, বরং যা রয়েছে, তাই দিয়েই চিনুক গোটা দুনিয়া। জল-জঙ্গল-পাহাড়-নদী— হাত ভরে দিয়েছে প্রকৃতি। তা-ই নিয়েই এ বার দেশ সহ গোটা দুনিয়ার দরবারে দাঁড়াতে চাইছে ঝাড়খণ্ড। ঢেলে সাজাচ্ছে রাজ্যের পর্যটন ব্যবস্থা। এ জন্য একগুচ্ছ নতুন নীতি গ্রহণ করেছিল মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেনের সরকার। ২৩ জুলাই, শনিবার সেই নীতিই কার্যকর করা হল ঝাড়খণ্ডে।
নতুন নীতিতে পর্যটকদের জন্য রয়েছে অনেক চমক। পর্যটন ক্ষেত্রে বিনিয়োগকারীরাও পাবেন অনেক সুযোগ। নতুন করে সাজানো হবে দেওঘর, পরশনাথ, মধুবন, ইটখরি। সেখানে পর্যটকদের থাকা-খাওয়ার জন্য থাকবে সমস্ত সুবিধা। পুণ্যার্থীদের টানতে রাজ্যের ধর্মীয় স্থানগুলির সংস্কারেও নজর দেবে সোরেন সরকার।
পাশাপাশি ঝাড়খণ্ডে অরণ্য-পর্যটনকে আরও জনপ্রিয় করে তুলতে চাইছে রাজ্য সরকার। লাতেহার-নেতারহাট-বেতলা-চাণ্ডিল-দলমা-মিরছাইয়া-গেতেলসুদ অঞ্চলে আরও বেশি পর্যটন আবাস গড়ে তুলছে রাজ্য।
নতুন নীতিতে গ্রাম এবং শহরের দূরত্ব কমিয়ে গ্রামীণ অর্থনীতির হাল ফেরানোর কথাও বলা হয়েছে। পরিচিত পর্যটন কেন্দ্রের সঙ্গেই ঝাড়খণ্ডের প্রত্যন্ত গ্রামে বেড়ানোর ব্যবস্থাও করছে রাজ্য সরকার। সেখানকার স্থানীয় খাবার, সংস্কৃতি আরও জনপ্রিয় করে তুলতে চাইছে। এজন্য বেশ কয়েকটি গ্রামকে চিহ্নিত করে সেগুলোর উন্নয়নের জন্য গ্রাম্য পর্যটন কমিটি (ভিটিসি) গঠন করা হয়েছে।
অন্য অনেক রাজ্যে যা নেই, সেই খনিও প্রচুর রয়েছে ঝাড়খণ্ডে। এবার এই খনিগুলোকেও পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তুলতে চাইছে সরকার। অ্যাডভেঞ্চারে যেতে চাইলে, তাঁদেরও নিরাশ হতে হবে না। প্যারাগ্লাইডিং, রক ক্লাইম্বিংয়ের ব্যবস্থা থাকবে বেশ কিছু পর্যটন কেন্দ্রে। ম্যাসাঞ্জোর, তিলাইয়া, কাঁকে, হাতিয়া, চাণ্ডিল, গেতালসুদ বাঁধে থাকবে ওয়াটার স্পোর্টসের ব্যবস্থা। নতুন নীতিতে পর্যটনের জন্য কেউ জমি কিনতে চাইলে দামে ২০ থেকে ২৫ শতাংশ ভরতুকি পাবেন। মহিলা উদ্যোক্তাদের জন্যও থাকছে ছাড়ের সুবিধা।