জয়ললিতাকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে রজনীকান্ত। পিটিআইয়ের ফাইল চিত্র।
তাঁর কারণেই ১৯৯৬-এর নির্বাচনে হারতে হয়েছিল জয়ললিতাকে। রবিবার ‘আম্মা’-কে শ্রদ্ধাঞ্জলি দিতে এসে অকপটে স্বীকার করলেন সুপারস্টার রজনীকান্ত। ওই দিন তিনি জয়াকে ‘কোহিনূর হীরা’র সঙ্গেও তুলনা করেন। সাউথ ইন্ডিয়ান আর্টিস্টস অ্যাসোসিয়েশন-এর উদ্যোগে তামিলনাড়ুর প্রয়াত মুখ্যমন্ত্রী জয়ললিতা এবং অভিনেতা-সাংবাদিক চো রামস্বামীকে শ্রদ্ধাঞ্জলি দেওয়া হয়েছিল। সেখানে পুরনো স্মৃতি রোমন্থন করতে গিয়ে জয়ার সম্পর্কে বলেন, “আমি তাঁকে দুঃখ দিয়েছি। তাঁর পরাজয়ের মূল কারণ ছিলাম আমি।”
কী বলেছিলেন সে দিন রজনীকান্ত, যার জন্য এখন তিনি অনুতপ্ত?
১৯৯৬-এ তামিলনাড়ুতে ফের ক্ষমতায় আসার জন্য কোমর বেঁধে নেমেছিলেন জয়ললিতা ও তাঁর দল এআইএডিএমকে। কিন্তু তুমুল প্রতিষ্ঠানবিরোধী হাওয়ার মধ্যে জয়াকে হঠিয়ে ক্ষমতায় আসে ডিএমকে এবং তামিল মনিলা কংগ্রেস জোট। জয়ললিতা ফের ক্ষমতায় এলে যে তামিলনাড়ু শেষ হয়ে যাবে সেই আশঙ্কা প্রকাশ করে রজনী বলেছিলেন, “জয়ললিতার এআইএডিএমকে-কে পুনরায় ক্ষমতায় আনলে তামিলনাড়ুকে স্বয়ং ভগবানও রক্ষা করতে পারবেন না।”
আরও খবর: দলে দৌড়ে এগিয়ে শশিকলা, সরব জয়ার ভাইঝি
জয়ললিতা কী ভাবে লড়াই করে নিজেকে তুলে এনেছেন সে কথাও জানান তামিল সুপারস্টার রজনীকান্ত। তিনি জানান, জয়ার সমালোচনা করা, তাঁর বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছিলাম ঠিকই, কিন্তু পরে প্রমাণ করেছেন তিনি এক জন স্বর্ণহৃদয়ের মানুষ। এআইএডিএমকে-র প্রতিষ্ঠাতা এম জি রামচন্দ্রনের মৃত্যুর পর জয়াই হাল ধরেন দলের। অনেক প্রতিকূল পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে লড়াই করে তামিলনাড়ুর ক্ষমতায় নিয়ে আসেন দলকে। মুখ্যমন্ত্রী নির্বাচিত হন তিনি।
রজনীকান্ত বলেন, “আজ তিনি এমজিআর-এর সৌধের পাশে কোহিনূর হীরের মতোই শায়িত হয়ে বহু মানুষের ভালবাসা উপভোগ করছেন।”