জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিয়ো কিশিদার সঙ্গে নরেন্দ্র মোদী। ছবি: পিটিআই।
ভারত সফরে এসে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে জি৭ সম্মেলনে উপস্থিত থাকার অনুরোধ জানালেন জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিয়ো কিশিদা। সোমবার দিল্লির হায়দরাবাদ হাউসে দুই প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে একাধিক বিষয়ে আলোচনা হয়। পরে দিল্লির বুদ্ধ জয়ন্তী পার্কে খোশমেজাজে দেখা যায় মোদী এবং কিশিদাকে। সেখানে গোলগাপ্পা (ফুচকা), লস্যি এবং আমপান্নার শরবত চেখে দেখেন জাপানের প্রধানমন্ত্রী।
কিশিদার সঙ্গে বৈঠক করে মোদী জানান, জাপানের প্রধানমন্ত্রীর সফর দুই দেশের সম্পর্ককে আরও উন্নত করবে। জি২০ সম্মেলনকে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলির ‘কন্ঠস্বর’ বলেও অভিহিত করেন মোদী। কিশিদার সঙ্গে যৌথ সাংবাদিক বৈঠকে মোদী বলেন, ‘‘ভারত এবং জাপান দুই দেশই তাদের কৌশলগত পারস্পরিক সম্পর্ককে এগিয়ে নিয়ে যাবে।” ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে শান্তি এবং স্থিতাবস্থা বজায় রাখতে দুই দেশ সক্রিয় ভূমিকা পালন করবে বলেও জানান মোদী। ভারতে বিনিয়োগের পরিমাণ বাড়ানোর জন্য জাপান সরকারকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন তিনি।
এই ভারত সফরেই অবাধ এবং মুক্ত ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের জন্য নিজের পরিকল্পনার কথা জানাবেন জাপানের প্রধানমন্ত্রী। কিশিদার পূর্বসূরি শিনজো আবে ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে চিনকে রুখতে যে পরিকল্পনার কথা বলেছিলেন, তা-ই এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার কথা বলবেন কিশিদা, এমনটাই মনে করছেন কূটনীতিক মহলের একাংশ। কিশিদা আসার আগেই ভারতে ঘুরে গিয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী এবং আমেরিকার পররাষ্ট্রসচিব। ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে চিনের ‘আগ্রাসন’কে রুখতে জাপান, ভারত, অস্ট্রেলিয়া এবং আমেরিকা যে চতুর্দেশীয় অক্ষ (কোয়াড) তৈরি করেছে, তাকে আরও সক্রিয় এবং গতিশীল করার বিষয়েও মোদী এবং কিশিদার মধ্যে আলোচনা হতে পারে।