ফের জইশ সক্রিয়তা কাশ্মীরে। ফাইল চিত্র
কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা রদ হওয়ার পরে প্রথম জঙ্গিতৎপরতা নজরে এল। জইশ-ই-মহম্মদের সক্রিয়তার আঁচ পেল জম্মু-কাশ্মীর প্রশাসন। সোমবার দুই পশুপালককে অপহরণ করে পুলওয়ামার গভীর জঙ্গলে হত্যা করেছে জইশ জঙ্গিরা, পুলিশ সূত্রে খবর এমনটাই।
সোমবার সন্ধেয় রাজৌরি জেলা খেকে আবদুল কাদের কোহালি এবং শ্রীনগর থেকে মনজুর আহমেদ নামক দুই পশুপালককে অপহরণ করে পুলওয়ামার নিজেদের অস্থায়ী তাঁবুতে নিয়ে যায় সশস্ত্র জঙ্গিরা। রাতেই অপহৃত দু’জনের খোঁজে নামে জম্মু-কাশ্মীর পুলিশ।পুলিশের ডিরেক্টর জেনারেল দিলবাগ সিংহ সংবাদমাধ্যমকে জানান, মঙ্গলবার সকালে এই দুই ব্যক্তির ছিন্নভিন্ন দেহ মেলে পুলওয়ামার জঙ্গলে। দিলবাগ সিংহ আরও বলেন, ‘‘আমরা সর্বশক্তি দিয়ে এই জঙ্গিগোষ্ঠীকে নিকেশ করার চেষ্টা করছি।’’
আরও পড়ুন: শোকের মধ্যে হাতসাফাই! জেটলির শেষকৃত্যে বাবুল সুপ্রিয়-সহ১১ জনের মোবাইল চুরি
আরও পড়ুন:৪১০০ আটক কাশ্মীর জুড়ে, গ্রেফতারও বহু
গত ৫ অগস্ট ৩৭০ ধারা প্রত্যাহার হওয়ার পরেই উপত্যকায় অতিরিক্ত কয়েক হাজার সশস্ত্র বাহিনী মোতায়েন করে কেন্দ্র। নিষেধাজ্ঞার কড়াকড়ির মধ্যে বিক্ষোভ বা ধড়পাকড়ের খবর এসেছে বারবার। জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশের এক বড়কর্তা সোমাবারই জানিয়েছেন উপত্যকার বিভিন্ন জায়গা থেকে এ পর্যন্ত অন্তত ৪১০০ জনকে গ্রেফতার বা আটক করেছে নিরাপত্তা বাহিনী। ৬০৮ জনের বিরুদ্ধে বিতর্কিত জনসুরক্ষা আইনে মামলা করা হয়েছে। জনতা-পুলিশ সংঘর্ষের আবহেই নিরাপত্তার কড়াকড়ি কখনও শিথিল করেছে প্রশাসন, কখনও আবার নতুন কেরে বিধিনিষেধ জারি হয়েছে। তবে কোনও প্রত্যক্ষ জঙ্গি সক্রিয়তার খবর মেলেনি। উত্তর কাশ্মীরে ২০ অগস্ট লস্কর-ই-তৈবার এক জঙ্গিঘাঁটিতে হামলা চালায় পুলিশ। সংঘর্ষে প্রাণ যায় এক পুলিশ অফিসারের। সোমবার জইশ সক্রিয়তার খবর আসার পরে প্রশ্ন উঠছে, তবে কি নিরাপত্তা পরিস্থিতি শিথিল হওয়ার অপেক্ষাতেই রয়েছে জইশ গোষ্ঠী?
এদিনই জম্মু কাশ্মীরের পরিস্থিতি নিয়ে নর্খ ব্লকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের শীর্ষকর্তারা বৈঠক করেছেন। অন্য দিকে উপত্যকায় অত্যাবশ্যকীয় পণ্য-ওষুধ পরিষেবার যোগান নিয়ে অভিযোগ আসছে নানা জায়গা থেকে। সরকারের তরফে এই অভিযোগকে উড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। এক বিবৃতিতে জানানো হযেছে মোট ৩২ কোটি টাকার ওষুধ জম্মু-কাশ্মীরের জেলাগুলিতে পৌঁছে দিয়েছে প্রশাসন।