অমৃতপাল সিংহ। — ফাইল চিত্র।
চার দিনের প্যারোলে মুক্তি পেতে চলেছেন অমৃতপাল সিংহ। সাংসদ হিসাবে শপথগ্রহণের জন্য শুক্রবার তাঁকে জেল থেকে মুক্তি দেওয়া হচ্ছে। মুক্তির পর কড়া নিরাপত্তার ঘেরাটোপে দিল্লিতে ঘরবন্দি থাকবেন তিনি। তাঁর সঙ্গে দেখা করতে পারবেন শুধু তাঁর পরিবারের সদস্যেরা। নির্দেশ জারি করেছেন অমৃতসরের জেলাশাসক।
গত বছর এপ্রিলে জাতীয় সুরক্ষা আইন (এনএসএ)-এ গ্রেফতার হয়েছিলেন অমৃতপাল। সেই থেকে তিনি অসমের ডিব্রুগড় জেলে। কিছু শর্তের বিনিময়ে অমৃতপালকে প্যারোল দেওয়া হয়েছে। অমৃতসরের জেলাশাসক ঘনশ্যাম থোরি জানিয়েছেন, সেই শর্ত ডিব্রুগড়ের জেল সুপারকে জানানো হয়েছে। ‘ওয়ারিস ডে পঞ্জাব’ সংগঠনের প্রধান অমৃতপালের আইনজীবী জানিয়েছেন, সম্প্রতি ডিব্রুগড়ের জেল সুপারের মাধ্যমে অমৃতসরের ডেপুটি কমিশনারকে একটি চিঠি দিয়েছিলেন তাঁর মক্কেল। এর পরেই অমৃতপাল যাতে সাংসদ হিসাবে শপথ নিতে পারেন, সে জন্য প্রয়োজনীয় ছাড়পত্র চেয়ে পঞ্জাব সরকারকে বিষয়টি জানান ডেপুটি কমিশনার। আবেদন মঞ্জুর করে রাজ্য সরকার। এনএসএর ১৫ নম্বর ধারায় প্যারোল দেওয়া হয়েছে অমৃতপালকে।
চলতি লোকসভা নির্বাচনে পঞ্জাবের খাদুর সাহিব আসনে জয়ী হয়েছেন তিনি। কংগ্রেসের কুলবীর সিংহ জিরাকে ১ লক্ষ ৯৭ হাজার ১২০ ভোটে হারিয়েছেন তিনি। জেলে বসেই ভোটে জয় পেয়েছেন তিনি। তাঁর হয়ে প্রচার সামলেছেন তাঁর বাবা। বিচ্ছিন্নতাবাদী খলিস্তানি সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত থাকা এবং লকআপে হামলা চালানোর অভিযোগে ২০২৩ সালের ২৩ এপ্রিল পঞ্জাবের মোগা থেকে গ্রেফতার করা হয় অমৃতপালকে। ‘ওয়ারিশ পঞ্জাব দে’ সংগঠনের নেতা ছিলেন তিনি। ১৮ মার্চ সঙ্গীদের নিয়ে হামলা চালিয়েছিলেন অমৃতসরের কাছে অঞ্জলা থানার লকআপে। তার পর থেকে বেশ কিছু দিন ফেরার ছিলেন। জাতীয় সুরক্ষা আইনে (এনএসএ) গ্রেফতার করা হয় তাঁকে। জেলে থাকাকালীনই লোকসভা ভোটে লড়ার আবেদন জানিয়েছিলেন পঞ্জাবের এই খলিস্তানি নেতা। আদালতের দ্বারস্থও হয়েছিলেন। খাদুর সাহিব আসন থেকে নির্দল প্রার্থী হিসাবে লড়তে মনোনয়ন জমা দিয়েছিলেন কমিশনের কাছে। শেষে জয়ীও হন।