রাম রহিম। — ফাইল চিত্র।
হরিয়ানা বিধানসভা নির্বাচনে প্রথম প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করেছে বিজেপি। সেই তালিকায় নাম রয়েছে প্রাক্তন কারা আধিকারিক সুনীল সাঙ্গোয়ানের। এই সুনীলই ছ’বার প্যারোলে মুক্তি দিয়েছিলেন ‘ডেরা সচ্চা সৌদা’-র প্রধান রাম রহিমকে, যা নিয়ে বিতর্কও তৈরি হয়েছিল। ধর্ষণের দায়ে ২০ বছর সাজা হয়েছে এই স্বঘোষিত ধর্মগুরুর। তার মাঝে বার বার প্যারোলে মুক্তি পেয়েছেন। তাঁকে ছ’বার প্যারোল মঞ্জুর করা সুনীল এ বার হরিয়ানার দাদরি আসনে প্রার্থী হয়েছেন। ২০১৯ সালে এই আসনে নির্দল প্রার্থী হিসাবে লড়াই করে জিতেছিলেন প্রাক্তন বিজেপি নেতা সোমবীর সাঙ্গোয়ান।
২০১৯ সালে কুস্তিগির ববিতা ফোগতকে দাদরি বিধানসভাকেন্দ্রে প্রার্থী করেছিল বিজেপি। তার পরেই বিজেপি ছেড়েছিলেন সোমবীর। লোকসভা ভোটের আগে এই সোমবীর-সহ তিন নির্দল বিধায়ক কংগ্রেসকে সমর্থন করেছিলেন। তার পরেই হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে সরতে হয় মনোহরলাল খট্টরকে। সোমবীর শর্ত দিয়েছেন, আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে দাদরি আসনে তাঁকে প্রার্থী করা হলে তিনি কংগ্রেসে যোগ দিতে পারেন। এই আবহে দাদরিতে বিজেপি প্রার্থী করল প্রাক্তন কারা আধিকারিক সুনীলকে।
সম্প্রতি কারা আধিকারিকের পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন সুনীল। তিনি ছ’বার প্যারোল দিয়েছেন রাম রহিমকে। সেই নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন। গত মাসেও ২১ দিনের প্যারোল মঞ্জুর হয়েছে এই স্বঘোষিত ধর্মগুরুর। শেষ চার বছরে এই নিয়ে ১০ বার প্যারোল পেয়েছেন তিনি। চলতি বছর লোকসভা নির্বাচনের কয়েক সপ্তাহ আগেও গত জানুয়ারি মাসে ৫০ দিনের জন্য প্যারোলে মুক্তি পেয়েছিলেন রাম রহিম। গত নভেম্বর মাসে রাজস্থানের বিধানসভা নির্বাচনের আগেও তিন সপ্তাহের জন্য প্যারোলে মুক্তি পেয়েছিলেন তিনি। এ বার হরিয়ানার বিধানসভা ভোটের আগে আবার মঞ্জুর হল প্যারোল। এটা কি নেহাত ঘটনাচক্রে! প্রসঙ্গত, হরিয়ানা, পঞ্জাব, উত্তরপ্রদেশে হাজার হাজার ভক্ত রয়েছে রাম রহিমের। বিরোধী কংগ্রেস-সহ বিজেপির সমালোচকদের দাবি, সে কারণে বার বার ভোটের আগে প্যারোল মঞ্জুর হয় রাম রহিমের।
আগামী মাসে হরিয়ানায় বিধানসভা নির্বাচন। পর পর তিন বার এই রাজ্যে জয় পেতে মরিয়া বিজেপি। চলতি বছর লোকসভা নির্বাচনে রাজ্যে আপের সঙ্গে জোট গড়ে ১০টি আসনের মধ্যে পাঁচটিতে জয়ী কংগ্রেস। আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে শাসক এবং বিরোধীদের হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে বলেই মনে করা হচ্ছে।