দ্রৌপদীর কাছে শপথবাক্য পাঠ ধনখড়ের। ছবি: টুইটার থেকে নেওয়া।
দেশের চতুর্দশ উপরাষ্ট্রপতি হিসাবে শপথ নিলেন জগদীপ ধনখড়। বৃহস্পতিবার রাষ্ট্রপতিভবনে তাঁকে শপথবাক্য পাঠ করান রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু। ধনখড় শপথ নেন হিন্দিতে। এই অনুষ্ঠানে প্রথামাফিক হাজির ছিলেন বিদায়ী উপরাষ্ট্রপতি বেঙ্কাইয়া নায়ডু।
উপরাষ্ট্রপতি পদে পশ্চিমবঙ্গের প্রাক্তন রাজ্যপালের শপথে উপস্থিত থাকার জন্য নিয়মমাফিক আমন্ত্রণ গিয়েছিল তৃণমূলের লোকসভার নেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় এবং রাজ্যসভার নেতা ডেরেক ও’ব্রায়েনের কাছে। কিন্তু তাঁরা দু’জনেই ছিলেন গরহাজির।
প্রসঙ্গত, গত ৬ অগস্ট উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনে বিরোধী জোট প্রার্থী মার্গারেট আলভাকে হারিয়ে বড় ব্যবধানে জয়লাভ করেন এনডিএ প্রার্থী ধনখড়। বাংলার প্রাক্তন রাজ্যপাল পান ৫২৮ টি ভোট। আলভা ১৮২টি। লোকসভা এবং রাজ্যসভার ৩৪ জন তৃণমূল সাংসদ ভোটদানে বিরত ছিলেন।
উপরাষ্ট্রপতির পদাধিকার বলে রাজ্যসভার চেয়ারম্যানের দায়িত্বও সামলাবেন ধনখড়। আগামী দিনে সুষ্ঠু ভাবে সংসদের উচ্চকক্ষের কাজ পরিচালনা করাই তাঁর কাছে সব চেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াতে চলেছে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের অনেকে। কারণ, লোকসভা ভোটের আগে সংসদে শাসক এবং বিরোধী শিবিরের সঙ্ঘাতের পারদ আরও চড়তে পারে বলে তাঁদের ধারণা।
নীতীশ কুমারের জেডিইউ বিজেপির সঙ্গ ছাড়ার পরে রাজ্যসভায় এনডিএ-র সাংসদ সংখ্যা কমে বিরোধী সাংসদদের সম্মিলিত সংখ্যার কাছাকাছি চলে এসেছে। ‘আপত্তির’ বিল পাশ করানোর বিরোধিতা থেকে শুরু করে বিভিন্ন বিষয়ে রাজ্যসভা অচল করতে হলে কংগ্রেস, তৃণমূল-সহ বিরোধীরা এখন আগের চেয়ে বেশি শক্তি নিয়ে অধিবেশন কক্ষে নামতে পারবে। তাই আগামী শীতকালীন অধিবেশন থেকেই নতুন চেয়ারম্যান ধনখড়ের উপস্থিতিতে রাজ্যসভা গরম হওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।