সনিয়া গান্ধী এবং রাহুল গান্ধীর সঙ্গে ওয়াইএস শর্মিলা (মাঝে)। —ফাইল চিত্র।
সব কিছু ঠিক থাকলে চলতি সপ্তাহেই কংগ্রেসে যোগ দিচ্ছেন ওয়াইএস শর্মিলা। কংগ্রেস সূত্রে খবর, অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী ওয়াইএস জগন্মোহন রেড্ডির বোন তথা ওয়াইএসআর তেলঙ্গানা পার্টির প্রধান শর্মিলা কংগ্রেসে যোগ দিলে অন্ধ্রপ্রদেশে তাঁকে বড় দায়িত্ব দিতে চলেছে দল। সে ক্ষেত্রে হয়তো আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে এবং একই সঙ্গে হওয়া অন্ধ্রের বিধানসভা নির্বাচনে ভাই জগনের বিরুদ্ধে নির্বাচনী লড়াইয়ে নামতে দেখা যাবে তাঁকে।
যদিও শর্মিলার যোগদান নিয়ে এখনও আনুষ্ঠানিক ভাবে কিছু জানায়নি কংগ্রেস। এ ব্যাপারে মুখ খোলেননি শর্মিলাও। তবে কংগ্রেস সূত্রে খবর, কথাবার্তা পাকা হয়ে গিয়েছে। চলতি সপ্তাহেই কংগ্রেসের পতাকা হাতে নিচ্ছেন শর্মিলা। ওই সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, অন্ধ্রে শর্মিলাকে বড় সাংগঠনিক দায়িত্ব দিচ্ছে দল। কংগ্রেস শিবিরের আশা, জগন্মোহনের নেতৃত্বে অসন্তুষ্ট কর্মী-সমর্থকেরা, সে রাজ্যের শাসকদল ওয়াইএসআর কংগ্রেস পার্টি ছেড়ে শর্মিলার নেতৃত্বে কংগ্রেসে যোগ দেবেন। টিডিপি প্রধান চন্দ্রবাবু নায়ডু গ্রেফতার হওয়ার পর অন্ধ্রের রাজনীতিতে বিরোধী পরিসরে শূন্যতা তৈরি হয়েছে বলে মনে করছে কংগ্রেস। শাসকের আসনে না বসলেও শর্মিলাকে সামনে রেখে ওই বিরোধী পরিসর দখল করতে চাইছে হাত শিবির।
২০১০ সালে ১৮ জন বিধায়ককে নিয়ে কংগ্রেস ছেড়েছিলেন জগন্মোহন। তৈরি করেছিলেন নিজের দল ওয়াইএসআর কংগ্রেস পার্টি। ২০১৯ সালে টিডিপিকে হারিয়ে ক্ষমতায় আসে জগনের দল। জগনের প্রচারে গোড়া থেকেই মা ওয়াইএস বিজয়াম্মার সঙ্গে নেতৃত্ব দিলেও ২০২১ সালে শর্মিলা জানান, ভাইয়ের সঙ্গে রাজনৈতিক মতান্তরের জেরে তিনি দল ছাড়ছেন এবং তেলঙ্গানায় তৈরি করছেন নিজের দল ওয়াইএসআর তেলঙ্গানা পার্টি। তার পর তেলঙ্গানার তৎকালীন শাসকদল টিআরএস এবং প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাও (কেসিআর)-এর বিরুদ্ধে প্রচার শুরু করেন তিনি।
তেলঙ্গানার সদ্য সমাপ্ত বিধানসভা নির্বাচনে নিজে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেননি শর্মিলা এবং তাঁর দল। তিনি জানান যে, তেলঙ্গানার বিধানসভা নির্বাচনে কংগ্রেস জেতার জায়গায় রয়েছে। তাই তিনি নিজে আর লড়তে চান না। তখনই তাঁর কংগ্রেস-‘ঘনিষ্ঠতা’ নিয়ে জল্পনা ছড়ায়। প্রসঙ্গত, শর্মিলা এবং জগনের প্রয়াত পিতা তথা অন্ধ্রের প্রাক্তন কংগ্রেসি মুখ্যমন্ত্রী ওয়াইএস রাজশেখর রেড্ডির মৃত্যুর পরই সে রাজ্যে ক্রমশ শক্তি হারাতে থাকে কংগ্রেস। এ বার রাজশেখরের মেয়েকে সামনে রেখেই দলের হারানো মাটি পুনরুদ্ধার করতে চায় হাত শিবির।