জগন্মোহন রেড্ডি। ফাইল চিত্র।
সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতে শুক্রবার হাজিরা দিলেন অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী জগন্মোহন রেড্ডি। আয়ের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ সম্পত্তির মামলায় তাঁকে ডেকে পাঠিয়েছিল সিবিআই। ২০১১ সালে জগনের বিরুদ্ধে এই বিষয়ে একটি মামলা হয়। তাঁর বিরুদ্ধে ১১টি চার্জশিটও দেয় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাটি। সেই মামলার শুনানি ছিল এ দিন।
হাজিরা দেওয়ার জন্য গত ৩ জানুয়ারি সিবিআই আদালত নোটিস পাঠায় জগন্মোহন রেড্ডি এবং তাঁর ঘনিষ্ঠ সহযোগী রাজ্যসভার সাংসদ ভি বিজয় সাই রেড্ডিকে। ১০ জানুয়ারির আগেই তাঁদের হাজিরা দিতে বলা হয়েছিল। এ দিন সকালেই বিজয়ওয়াড়া থেকে বেগমপেট বিমানবন্দরে বিশেষ বিমানে নামেন জগন। সেখান থেকে কড়া নিরাপত্তায় নামপল্লি আদালতে পৌঁছন। মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর এই প্রথম সিবিআই আদালতে হাজিরা দিলেন জগন।
একটা সাংবিধানিক পদে রয়েছেন তিনি এবং সে কারণে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে তাঁকে উপস্থিত থাকতে হয়। গত বছরের ১ নভেম্বর সিবিআই আদালতে একই মর্মে আবেদন আবেদন জানিয়ে ব্যক্তিগত ভাবে হাজিরায় অব্যাহতি চেয়েছিলেন জগন। কিন্তু তাঁর সেই আবেদনের বিরোধিতা করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাটি আদালতে জানায়, সাক্ষীকে প্রভাবিত করার চেষ্টা করতে পারেন জগন। আদালতও জগনের আবেদনকে খারিজ করে প্রতি শুক্রবার সশরীরে হাজির থাকার নির্দেশ দেয়। সেই নির্দেশ অনুযায়ী এ দিন আদালতে সশরীরে হাজির হয়েছিলেন তিনি।
আরও পড়ুন: কাল শহরে মোদী, বিক্ষোভের আশঙ্কায় যাতায়াতের রুট নিয়ে চিন্তায় এসপিজি
আরও পড়ুন: আগে নিজের দেশের ‘রোগ’ সারান, সন্ত্রাস প্রশ্নে রাষ্ট্রপুঞ্জে পাকিস্তানকে তোপ ভারতের
২০১২-র ২৭ মে সিবিআই গ্রেফতার করেছিল জগন্মোহনকে। ১৬ মাস জেলে কাটানোর পর জামিন পান। এত দিন জামিনে ছিলেন তিনি। জগন বলেন, “তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগ মিথ্যা। রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবেই তাঁকে ফাঁসানোর চেষ্টা চলছে।”