প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ফাইল চিত্র।
স্বাধীনতা দিবসের ঠিক আগেই বিহারে বিজেপিকে বাদ দিয়ে জেডিইউ, আরজেডি, কংগ্রেস মিলে সরকার গঠন করে ফেলেছে। স্বাধীনতা দিবসে প্রশ্ন উঠেছে, ২০২২-এর ১৫ অগস্টের মধ্যে নরেন্দ্র মোদীর চাষিদের আয় দ্বিগুণ করা, সকলের জন্য পাকা বাড়ির প্রতিশ্রুতির কী হল!
আজ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বার্তা দিলেন, এখনও সকলের জন্য পাকা বাড়ি করে দিতে না পারলেও ২০২৪-এর মধ্যে তাঁর সকলের কাছে নলবাহিত জল পৌঁছে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি পূরণের কাজ সঠিক গতিতেই এগোচ্ছে। কার্যত বিহারের পালাবদলের দিকে ইঙ্গিত করে তাঁর মন্তব্য, সরকার গঠন করতে খুব বেশি পরিশ্রম করতে হয় না। দেশ গঠনের জন্য কঠোর পরিশ্রম করতে হয়।
প্রধানমন্ত্রী আজ গোয়ায় ‘হর ঘর জল উৎসব’-এ যোগ গিয়ে ঘোষণা করেছেন, তাঁর ২০২৪-এর মধ্যে সকলের বাড়িতে নলবাহিত জল পৌঁছে দেওয়ার ‘হর ঘর জল’ প্রকল্পে এখনও পর্যন্ত গ্রামের ১০ কোটি পরিবারের কাছে নলবাহিত জল পৌঁছে গিয়েছে। গোয়ায় ১০০ শতাংশ গ্রামীণ পরিবারে নলবাহিত জল পৌঁছে গিয়েছে বলেও ঘোষণা করেছেন মোদী। কেন্দ্রীয় সরকারের দাবি, তেলঙ্গানা, হরিয়ানা, দাদরা ও নগর হাভেলী, দমন ও দিউতেও সব পরিবারে জল পৌঁছে গিয়েছে।
বিহারের পট পরিবর্তন বিজেপিকে ধাক্কা দেওয়ার পরে বিরোধীদের নিশানা করে আজ প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘‘সরকার গঠন করতে খুব বেশি পরিশ্রম করতে হয় না। কিন্তু দেশ গঠনের জন্য কঠোর পরিশ্রম করতে হয়। আমরা সবাই দেশ গঠনের রাস্তা বেছে নিয়েছি। তাই দেশের বর্তমান ও ভবিষ্যতের চ্যালেঞ্জের লাগাতার সমাধান করছি। যাঁদের দেশ নিয়ে মাথা ব্যথা নেই, তাঁরা দেশের বর্তমান ও ভবিষ্যৎ নিয়ে মাথা ঘামান না। এমন লোকেরা জল নিয়ে বড় বড় প্রতিশ্রুতি দেবেন। কিন্তু বড় দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে কাজ করতে পারবেন না।’’
দ্বিতীয় বার ক্ষমতায় এসে ২০১৯-এর স্বাধীনতা দিবসে লাল কেল্লা থেকে সব ঘরে নলবাহিত জল পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্য ঘোষণা করেছিলেন। বিজেপির মতে, ২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচনে এই ‘হর ঘর জল’ প্রকল্প প্রচারের অন্যতম অস্ত্র হয়ে উঠতে পারে। জলশক্তি মন্ত্রকের হিসেবে, সে সময়ে গ্রামের ১৬.৯ শতাংশ পরিবার, ৩.২৩ কোটি বাড়িতে নলবাহিত জলের সংযোগ ছিল। ১৯ অগস্ট ১০ কোটি পরিবারে নলবাহিত জল পৌঁছে গিয়েছে। পঞ্জাব, গুজরাত, বিহার ও হিমাচল প্রদেশেও খুব শীঘ্র ১০০ শতাংশ গ্রামীণ পরিবারে নলবাহিত জল পৌঁছে যাবে।
প্রধানমন্ত্রী আজ জানিয়েছেন, এক লক্ষের বেশি গ্রাম প্রকাশ্যে শৌচমুক্ত হওয়ার পাশাপাশি সেখানে বর্জ্য ব্যবস্থাপনার পরিকাঠামো তৈরি হয়ে গিয়েছে।