National News

সিবিআই জুজু দেখাচ্ছেন কি প্রধানমন্ত্রী?

লোকসভা নির্বাচন এগিয়ে আসতে তাঁদের কণ্ঠ স্তব্ধ করতে মোদী সরকার ফের সিবিআই-জুজু দেখাচ্ছে বলে অভিযোগ তুললেন বিরোধীরা। চিনি কারখানা দুর্নীতিকে কেন্দ্র করে মায়াবতীর বিরুদ্ধে সিবিআই-এর নড়াচড়া শুরু হওয়ার পরে এই সুরেই তার বিরোধিতায় সরব হয়েছেন বিরোধী নেতারা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২০ মে ২০১৮ ২১:১০
Share:

লোকসভা নির্বাচন এগিয়ে আসতে তাঁদের কণ্ঠ স্তব্ধ করতে মোদী সরকার ফের সিবিআই-জুজু দেখাচ্ছে বলে অভিযোগ তুললেন বিরোধীরা। চিনি কারখানা দুর্নীতিকে কেন্দ্র করে মায়াবতীর বিরুদ্ধে সিবিআই-এর নড়াচড়া শুরু হওয়ার পরে এই সুরেই তার বিরোধিতায় সরব হয়েছেন বিরোধী নেতারা।

Advertisement

বিরোধীদের বক্তব্য, এর আগে লালুর সঙ্গে এই আচরণ করেছেন নরেন্দ্র মোদী। বিরোধী দলগুলিকে চাপে রাখতে এ বার সেই সিবিআই-অস্ত্র ব্যবহার করা হচ্ছে অন্য নেতাদের উপরেও। ধুলো ঝেড়ে বার করে আনা হচ্ছে পুরনো সব অভিযোগ। ২০১০-১১ সালে উত্তরপ্রদেশে মায়াবতীর আমলের ১,১৭৯ কোটি টাকার চিনি কারখানা কেলেঙ্কারির সিবিআই তদন্ত দাবি করেছে যোগী আদিত্যনাথ সরকার। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে প্রধানমন্ত্রীর দফতরের নিয়ন্ত্রণে থাকা কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাটি ইতিমধ্যেই পুরনো ফাইল নাড়াচাড়া শুরু করেছে।

বিরোধীদের বক্তব্য— পুরনো কেলেঙ্কারি খুঁচিয়ে তোলা, সিবিআই-কে কাজে লাগিয়ে ভয় দেখানোটা বিজেপির রাজনৈতিক কৌশল। মায়াবতীর পর এ বার অন্য গুরুত্বপূর্ণ আঞ্চলিক দলের শীর্ষ নেতার বিরুদ্ধেও একই কৌশল নেওয়া হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। উত্তরপ্রদেশে সামনেই কৈরানা লোকসভা ও নূরপুর বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচন। সম্প্রতি বিজেপি-কে রুখতে এসপি-বিএসপি গাঁটছড়া বাঁধার পরিণাম স্পষ্ট হয়েছে গোরক্ষপুর ও ফুলপুরে।

Advertisement

কংগ্রেসের অভিষেক মনু সিঙ্ঘভির বক্তব্য— লালুকে জেলে পাঠানোর পরেই স্পষ্ট হয়েছে, মোদী সরকার বিরোধী নেতাদের বিরুদ্ধেই খড়গহস্ত হয়। কংগ্রেসের এক নেতা আজ বলেন, ‘‘কর্নাটকের ভোটের মুখেও রোজ ইডি ও আয়কর দফতর কংগ্রেসের নেতা-মন্ত্রীদের বিরুদ্ধে তল্লাশি চালাচ্ছে। অথচ কোনও বিজেপি নেতার বিরুদ্ধে এমন পদক্ষেপ দেখা গেল না। যেন বিজেপির সবাই দুর্নীতির ঊর্ধ্বে!’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement