পিটিআইয়ের তোলা ফাইল চিত্র।
ভারতের উত্তর সীমান্তের পড়শি দেশের সাহায্যে পরিকল্পিত ভাবে দেশের উত্তর-পূর্ব প্রান্তে বাংলাদেশিদের অনুপ্রবেশ ঘটাচ্ছে পশ্চিম দিকের পড়শি দেশ। ভারতের ওই প্রান্তে উত্তেজনা বজায় রাখতেই এই পরিকল্পনা। সরাসরি চিন বা পাকিস্তানের নাম উল্লেখ না করে এমনই অভিযোগ ভারতীয় সেনাপ্রধান জেনারেল বিপিন রাওয়তের।
জেনারেল রাওয়তের দাবি, “আমার মনে হয়, ছায়াযুদ্ধের অঙ্গ হিসেবেই সুপরিকল্পিত ভাবে এমন করছে ভারতের পশ্চিম দিকের পড়শি দেশ। এবং তাতে সমর্থন জোগাচ্ছে উত্তর সীমান্তের দেশটি, যাতে ওই অঞ্চলে গোলযোগ বজায় রাখা যায়।” সেনাপ্রধানের দাবি, উত্তর-পূর্বের ওই এলাকা দখলের চেষ্টাও তারা সর্বদাই চালিয়ে যাচ্ছে।
প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের কর্মীদের একটি সংগঠন আয়োজিত এক আলোচনা সভায় সীমান্ত সুরক্ষা নিয়ে ভাষণ দিতে গিয়ে এই মন্তব্য করেন জেনারেল রাওয়ত। অসমের বেশ কয়েকটি জেলায় মুসলিম জনসংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে বলে একাধিক রিপোর্ট সামনে এসেছে বলে জানিয়েছেন তিনি। পাশাপাশি, অসমে বদরুদ্দিন আজমলের নেতৃত্বাধীন এআইইউডিএফ (অল ইন্ডিয়া ইউনাইটেড ডেমোক্র্যাটিক ফ্রন্ট)-এর বাড়বাড়ন্ত নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন জেনারেল রাওয়ত। ২০০৫-এ জন্মলগ্নের পর থেকে এআইইউডিএফ থেকে এখনও পর্যন্ত লোকসভায় গিয়েছেন ৩ জন। অন্য দিকে, অসম বিধানসভায় তাদের বিধায়ক রয়েছে ১৩ জন।
আরও পড়ুন
‘নীরব মোদীকে সামনে পেলে জুতোপেটা করব’
অসম সরকার ইতিমধ্যেই বেআইনি অনুপ্রবেশকারীদের চিহ্নিত করার জন্য জাতীয় নাগরিক পঞ্জি বা এনআরসি-র প্রক্রিয়া শুরু করেছে। জেনারেল রাওয়তের মতে, উন্নয়নের মাধ্যমেই এলাকার সমস্যার সমাধান করতে হবে। পাশাপাশি, অশান্তি সৃষ্টিকারীদের চিহ্নিত করার প্রচেষ্টা শুরু করতে হবে বলেও মনে করেন তিনি।
আরও পড়ুন
খলিস্তানি জঙ্গি কানাডার প্রধানমন্ত্রীর সফরসঙ্গী!
এই ধরনের খবর আপনার ইনবক্সে সরাসরি পেতে এখানে ক্লিক করুন
কাশ্মীরে অনুপ্রবেশ প্রসঙ্গে এর আগেও পাকিস্তানকে কড়া হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন সেনাপ্রধান। গত ১৫ জানুয়ারি সেনা দিবসের একটি অনুষ্ঠানে তিনি হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন, অনুপ্রবেশে মদত বন্ধ না করলে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে।