(বাঁ দিকে) বিতর্কিত শিক্ষানবিশ আমলা পূজা খেড়কর। ভারতের জি২০ শেরপা অমিতাভ কান্ত (ডান দিকে)। —ফাইল চিত্র।
একা পূজা খেড়করের ঘটনাতেই গোটা দেশে হইচই। তার উপর ভারতের এক বিশিষ্ট কূটনীতিবিদ জানালেন, শুধু মহারাষ্ট্রের ওই শিক্ষানবিশ আমলা নন। ইউপিএসসির পরীক্ষায় অনিয়মের আরও অজস্র উদাহরণ রয়েছে। যে আমলা হওয়ার পরীক্ষায় সাফল্য পেতে দিনরাত এক করে পরিশ্রম করেন দেশের লক্ষ লক্ষ পরীক্ষার্থী, সেই ইউপিএসসির সংরক্ষণের সুবিধার ‘অপব্যবহার’ করে বাড়তি সুযোগ-সুবিধা নেন অনেকেই। সিভিল সার্ভিস বা আমলাতন্ত্রের সর্ব স্তরেই এই ধরনের অভিযোগ রয়েছে। সেই সমস্ত অভিযোগের তদন্ত করে দেখে দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপের দাবিও করেছেন ওই কূটনীতিবিদ।
একদা নীতি আয়োগের প্রধান এবং বর্তমানে জি২০-তে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর প্রতিনিধি ওই কূটনীতিবিদের নাম অমিতাভ কান্ত। প্রাক্তন আইএএস অফিসার এখন ভারতের জি২০ ‘শেরপা’। অর্থাৎ, সরকারের প্রতিনিধি। সেই তিনিই প্রশ্ন তুলেছেন দেশের আমলা হওয়ার প্রবেশদ্বার ইউপিএসসি পরীক্ষার সততা এবং শুদ্ধতা নিয়ে। ঘটনাচক্রে, যে দিন তিনি এই প্রশ্ন তুলেছেন, সে দিন সকালেই জানা গিয়েছে, ইউপিএসসির প্রধান মনোজ সোনি ইস্তফা দিয়েছেন নিজের পদ থেকে। এই দুই ঘটনার মধ্যে যোগসূত্র আছে কি না বোঝা না গেলেও সময়ের মিল রয়েছে। সকাল ১০টা নাগাদ মনোজের ইস্তফার খবরটি ছড়িয়ে পড়ে। আর অমিতাভ তাঁর এক্স (সাবেক টুইটার) হ্যান্ডলে ইউপিএসসির ‘শুদ্ধতা’ নিয়ে প্রশ্ন তোলেন ১১টা বেজে ২৮ মিনিটে।
অমিতাভ তাঁর পোস্টে লেখেন, ‘‘ইউপিএসসির মতো পরীক্ষায় মেধা আর সততার সঙ্গে কখনওই আপেস করা উচিত নয়।’’ মহারাষ্ট্রের বিতর্কিত শিক্ষানবিশ আমলার বিরুদ্ধে ইউপিএসসির ‘শারীরিক প্রতিবন্ধকতা’ সংক্রান্ত সংরক্ষণ এবং ‘অনগ্রসর শ্রেণিভুক্ত’দের জন্য সংরক্ষণের অপব্যবহারের অভিযোগ উঠেছে। কান্ত লিখেছেন, ‘‘আমিও তফসিলি জাতি, জনজাতি এবং অনগ্রসর শ্রেণির জন্য সংরক্ষণের বিরোধী নই। তবে এদের পাশাপাশি সমাজের উচ্চশ্রেণিভুক্তদের জন্যও আলাদা নিয়ম হওয়া দরকার।’’ একই সঙ্গে কান্তের পরামর্শ, ‘‘তৃতীয় লিঙ্গ এবং মানসিক ও শারীরিক প্রতিবন্ধীদের জন্য যে সংরক্ষণের নিয়ম রয়েছে, তা পুনর্বিবেচনা করা দরকার। কারণ, ওই সংরক্ষণের নিয়মেরও বহুল অপব্যবহার হচ্ছে।’’