অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্তবিশ্ব শর্মা। —ফাইল চিত্র।
ভারতের প্রথম কেলেঙ্কারিই হল পদবি কেলেঙ্কারি! অন্তত তেমনটাই দাবি অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্তবিশ্ব শর্মার। ভারত ও ইন্ডিয়া বিতর্কে কংগ্রেসকে আক্রমণ করে হিমন্ত বলেন, ‘‘দেশকে স্বাধীন করা মহাত্মা গান্ধীর পদবি জবরদখল করেছে একটি পরিবার।’’
আজ তিনি গুয়াহাটিতে মহিলা মোর্চার সভায় বলেন, ‘‘কর্ণাটক ভোটের আগে কংগ্রেস ভারত জোড়ো যাত্রা করল। ভোটের পরেই হয়ে গেল ইন্ডিয়া। তারা বরাবরই রং বদল করা দল। দেশের প্রথম কেলেঙ্কারিই হল কংগ্রেসের নাম-পদবির কেলেঙ্কারি।’’ বক্তব্যের ব্যাখ্যায় হিমন্ত বলেন, ‘‘আমি অনেক গবেষণা করেও বুঝতে পারিনি ইন্দিরা গান্ধী, রাজীব গান্ধী, রাহুল গান্ধীরা কী ভাবে গান্ধী হলেন!’’ প্রসঙ্গত ইন্দিরা গান্ধীর স্বামী ফিরোজ় জাহাঙ্গীর ঘান্দি ছিলেন পার্সি পরিবারের সন্তান। বাবা জাহাঙ্গীর ফারেদুন ঘান্দি ছিলেন মেরিন ইঞ্জিনিয়ার। তাঁর মৃত্যুর পরে মার সঙ্গে তৎকালীন ইলাহাবাদে চলে আসেন ফিরোজেরা। সেখানেই ইউইং খ্রিস্টান কলেজে কংগ্রেসের মহিলা বাহিনীর বিক্ষোভের সময়ে কমলা নেহরু জ্ঞান হারালে ফিরোজ তাঁর সেবা করেন। আলাপ হয় ইন্দিরার সঙ্গে। পরের দিনই পড়া ছেড়ে কংগ্রেসে যোগ দেন ফিরোজ। পরবর্তী কালে মহাত্মা গান্ধীর আদর্শে অনুপ্রাণিত ফিরোজ নিজের পদবির বানান বদল করে ঘান্দি থেকে গান্ধী করে নেন।
হিমন্ত বলেন, ‘‘রাহুল গান্ধীর কাছে আমার সনির্বন্ধ অনুরোধ, দয়া করে নিজের নকল পদবি ত্যাগ করুন।’’ তাঁর দাবি, কংগ্রেসের ইন্ডিয়া নামের প্রতি কোনও অধিকারই থাকার কথা নয়, কারণ ইন্ডিয়া বা ভারতকে গর্বিত করার মতো কোনও কাজই তারা করেনি। তাই লোকসভাতেও তাদের ইন্ডিয়া জোট গড়ে সরকার গড়ার স্বপ্ন ছেড়ে দেওয়াই ভাল।
প্রদেশ কংগ্রেস হিমন্তের মন্তব্যের নিন্দা করে বলে, মুখ্যমন্ত্রীর পদমর্যাদায় থেকে ওই ধরণের মন্তব্য শোভা পায় না। রাহুল গান্ধী কি পদবি ব্যবহার করবেন- তাও কী এখন বিজেপি ঠিক করে দেবে? কংগ্রেস মুখপাত্র অপূর্ব ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘বিভিন্ন সমস্যায় এখন জর্জরিত অসম। হিমন্তের উচিত তার সমাধানের চেষ্টা করা। রাহুলের পদবি রাজ্যের সমস্যা হতে পারে না।’’