অভিযুক্ত যুবক মহম্মদ রইস। ছবি: সংগৃহীত।
উত্তরপ্রদেশে বসে পাক গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই-এর চরবৃত্তি করার অভিযোগে এক যুবককে গ্রেফতার করল অ্যান্টি টেররিস্ট স্কোয়াড (এটিএস)। অভিযুক্ত যুবকের নাম মহম্মদ রইস। অভিযোগ, ভারতীয় সেনার গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাকিস্তানে পাচার করতেন রইস। বিনিময়ে পেতেন মোটা টাকা। রবিবার এমনটাই জানিয়েছে উত্তরপ্রদেশ এটিএস।
এটিএস সূত্রে খবর, রইস উত্তরপ্রদেশের গোণ্ডা জেলার তারাবগঞ্জ এলাকার বাসিন্দা। মুম্বইয়ে কাজ করার সময় আরমান নামে এক যুবকের সঙ্গে পরিচয় হয় তাঁর। রইস পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছেন, আরমানই তাঁকে এই চরবৃত্তির ইন্ধন জুগিয়েছিলেন।
জিজ্ঞাসাবাদে সময় রইস আরও দাবি করেছেন যে, তিনি আরমানকে আরব আমিরশাহিতে চাকরি খুঁজে দিতে বলেছিলেন। কিন্তু আরমান তাঁকে প্রচুর অর্থের বিনিময়ে গুপ্তচরবৃত্তির প্রলোভন দেখান। এটিএস জানিয়েছে, এর পরেই গত বছর রইসের কাছে হুসেন নামে এক ব্যক্তির ফোন আসে। তিনি নিজেকে পাক গুপ্তচর বলে পরিচয় দিয়েছিলেন। রইসকে ভারতীয় সামরিক সেনাঘাঁটিগুলি সম্পর্কে তথ্য চালান করার দায়িত্বও দিয়েছিলেন হুসেনই। বিনিময়ে রইসকে ১৫ হাজার টাকা পাঠানো হয়। এর পর রইস তাঁর কয়েক জন বন্ধুকেও কাজে লাগিয়ে গুপ্তচরবৃত্তি শুরু করেন।
উত্তরপ্রদেশ এটিএসের তরফে জানানো হয়েছে, গোপন সূত্রে খবর পেয়ে অনেক দিন ধরেই রইসের উপর নজরদারি চালানো হচ্ছিল। এরপর তাঁকে লখনউতে এটিএস সদর দফতরে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকে পাঠানো হয়। সেখানেই তাঁকে গ্রেফতার করা হয়।
এই প্রসঙ্গে উত্তরপ্রদেশের বিশেষ ডিজি (আইনশৃঙ্খলা) প্রশান্ত কুমার বলেন, ‘‘রইস নামের এক যুবককে এটিএস গ্রেফতার করেছে। তিনি গোণ্ডার বাসিন্দা। তাঁকে এটিএস সদর দফতরে তলব করা হয়েছিল। জিজ্ঞাসাবাদের সময় তিনি গুপ্তচরবৃত্তিতে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন।’’