প্রতীকী ছবি।
পাকিস্তানে বিপদে পড়লেন এক ভারতীয় মহিলা। বছর আটেক আগে এক পাকিস্তানি যুবককে বিয়ে করে দেশ ছেড়েছিলেন ফরজ়ানা বেগম নামে মুম্বইয়ের বাসিন্দা। কিন্তু এখন পাকিস্তানে সন্তানকে নিজের কাছে রাখতে গিয়ে কালঘাম ছুটছে ফরজ়ানার। স্বামীর সঙ্গে ঝামেলার পর থেকেই পাকিস্তানে সমস্যায় পড়েন ওই ভারতীয় মহিলা।
সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, ২০১৫ সালে ভালবাসার টানে পাকিস্তানি যুবক মির্জ়া মুবিন এলাহিকে বিয়ে করতে ভারত ছেড়েছিলেন ফরজ়ানা। প্রথমে দুবাইয়ে গিয়ে সংসার পাতেন ফরজ়ানা এবং মির্জ়া। তার পর ২০১৮ সালে দু’জনে চলে আসেন পাকিস্তানের লাহোরে।
এত দিন দুই সন্তান নিয়ে সুখেই সংসার করছিলেন ফরজ়ানা এবং মির্জ়া। কিন্তু সম্প্রতি তাঁদের সম্পর্কে চিড় ধরে। দুই ছেলেকে নিজের হেফাজতে রাখার জন্য আইনি লড়াই শুরু হয়েছে ফরজ়ানা এবং মির্জ়ার মধ্যে। শুধু তা-ই নয়, দুই সন্তানের নামে থাকা কিছু সম্পত্তির উপরও দাবি জানান ফরজ়ানা। তবে সেই সম্পত্তি এবং সন্তানদের উপর অধিকার ছাড়তে নারাজ মির্জ়াও।
মির্জ়া দাবি করছেন, তিনি ফরজ়ানাকে তালাক দিয়েছেন। কিন্তু ফরজ়ানা সেই দাবি প্রত্যাখ্যান করেছেন। তাঁর কথায়, ‘‘আমার স্বামী যদি আমায় তালাক দিয়ে থাকেন, তবে অবশ্যই একটা শংসাপত্র থাকতে হবে। সম্পত্তির বিরোধের কারণে আমার এবং আমার সন্তানদের জীবন পাকিস্তানে হুমকির মধ্যে রয়েছে। আমি লাহোরে রেহমান গার্ডেনের বাড়িতে বন্দি হয়ে আছি। আমার সন্তানেরা অনাহারে দিন কাটাচ্ছে।’’
ফরজ়ানার অভিযোগ, তাঁকে পাকিস্তান ছেড়ে ভারতে চলে যেতে বলা হচ্ছে। কিন্তু সন্তানদের ছাড়া তিনি পাকিস্তান ছাড়বেন না বলেও জানান ফরজ়ানা। তিনি পাকিস্তান সরকারের কাছে আবেদন করেছেন, যত দিন পর্যন্ত না মামলার নিষ্পত্তি হচ্ছে, তত দিন যেন তাঁকে এবং তাঁর সন্তানদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে। মির্জ়ার দ্বিতীয় স্ত্রী ফরজ়ানা। তাঁর কথায়, ‘‘লাহোরে কিছু সম্পত্তি রয়েছে, যা আমার ছেলেদের নামে। সেই সম্পত্তি নিয়েই অশান্তি শুরু হয়েছে। আমার এবং আমার সন্তানদের পাসপোর্ট স্বামীর কাছে আছে।’’ ফরজ়ানার একটাই কথা, ‘‘আমি সন্তানদের ছাড়া ভারতে ফিরব না।’’