উত্তর রেলের অধীনে যাত্রীরা বন্দে ভারত বা শতাব্দী এক্সপ্রেসের মতো ট্রেনে দিল্লি, লখনউ, ভোপাল, চণ্ডীগড়, অমৃতসর, অজমের, দেহরাদূন, কানপুর, বারাণসী, কাটরা ও কাঠগুদামের মতো গন্তব্যে সফর করলে ট্রেনে ওই বিশেষ রেডিয়ো শোনার সুযোগ পাবেন।
ফাইল চিত্র।
যাত্রী সুরক্ষার পাশাপাশি এ বার যাত্রীদের বিনোদনেও বাড়তি নজর দিচ্ছে রেল। তারই অঙ্গ হিসেবে উত্তর রেলের অধীনে থাকা সব ‘বন্দে ভারত’ এবং শতাব্দী এক্সপ্রেসের যাত্রীদের জন্য এ বার বিশেষ রেডিয়ো পরিষেবা শুরু করা হচ্ছে।
সফরের মাঝখানে প্রথম সারির ওই সব ট্রেনের যাত্রীরা কতকটা এফএম রেডিয়োর ধাঁচে বিশেষ ব্যবস্থায় গান এবং অন্যান্য বিনোদনমূলক অনুষ্ঠান শোনার সুযোগ পাবেন। রেল সূত্রের খবর, প্রথম শ্রেণির ট্রেনে পাবলিক অ্যাড্রেস সিস্টেম ব্যবহার করে যাত্রীদের ওই বিশেষ পরিষেবা দেওয়া হবে। যাত্রী আকর্ষণের জন্য এই উদ্যোগ বলে রেল সূত্রের খবর।
উত্তর রেলের অধীনে যাত্রীরা বন্দে ভারত বা শতাব্দী এক্সপ্রেসের মতো ট্রেনে দিল্লি, লখনউ, ভোপাল, চণ্ডীগড়, অমৃতসর, অজমের, দেহরাদূন, কানপুর, বারাণসী, কাটরা ও কাঠগুদামের মতো গন্তব্যে সফর করলে ট্রেনে ওই বিশেষ রেডিয়ো শোনার সুযোগ পাবেন। এর মধ্যে নয়াদিল্লি থেকে বারাণসী এবং কাটরা রুটে দু’টি ‘বন্দে ভারত’ এক্সপ্রেস চলে। অন্যান্য শহরের সঙ্গে সংযুক্ত রুটগুলিতে রয়েছে শতাব্দী এক্সপ্রেস।
সব মিলিয়ে দু’টি বন্দে ভারত এবং ১০টি শতাব্দী এক্সপ্রেসকে ওই ব্যবস্থার আওতায় আনা হয়েছে। মূলত কয়েক ঘণ্টার দূরত্বে সফর করা যায়, এমন শহরগুলির মধ্যেই ওই সব ট্রেন চলে। যাত্রীদের সফরের ক্লান্তি লাঘব করতেই রেলের এই উদ্যোগ। প্রতি ঘণ্টার অনুষ্ঠানে ৫০ মিনিট পর্যন্ত গান এবং অন্যান্য বিনোদনমূলক অনুষ্ঠানের পাশাপাশি ১০ মিনিট বিজ্ঞাপন থাকবে।
এর জন্য একটি বেসরকারি সংস্থাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বলে রেল সূত্রের খবর। বিজ্ঞাপন সংগ্রহ এবং অনুষ্ঠান তৈরির দায়িত্বে থাকবে ওই বেসরকারি সংস্থা। প্রতি বছর ওই পরিষেবা থেকে উত্তর রেলের ৪৩.২০ লক্ষ টাকা আয় হবে বলে সূত্রের খবর।