৩৬ বছরের পুরনো ভিআইপি সংস্কৃতিকে বন্ধ করে দিল রেল। গত ২৮ সেপ্টেম্বর এ বিষয়ে একটি নির্দেশিকা জারি করেছে রেলমন্ত্রক।
ওই নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, এখন থেকে কোনও অঞ্চলে রেল বোর্ডের চেয়ারম্যান বা অন্য সদস্যরা গেলে জেনারেল ম্যানেজারদের সেখানে হাজির হওয়া বাধ্যতামূলক নয়। রেল বোর্ডের চেয়ারম্যান অশ্বিনী লোহানি জানান, কোনও আধিকারিক ফুলের তোড়া বা কোনও উপহার নিতে পারবেন না। তিনি আরও জানান, রেলের যে সব কর্মী উচ্চপদস্থ আধিকারিকদের বাড়িতে কাজ করেন, তাঁদের কাজে ফিরিয়ে আনা হবে।
আরও পড়ুন: চুল কেটে ক্লাসে আসতে বলায় কাস্তের কোপ শিক্ষককে
রেল সূত্রে খবর, এই মুহূর্তে রেলের উচ্চপদস্থ আধিকারিকদের বাড়িতে প্রায় ৩০ হাজার ট্র্যাকম্যান কাজ করেন। তাঁদের প্রত্যেককে রেলের কাজে ফিরিয়ে আনার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বিশেষ কারণ ছাড়া ওই সব কর্মীদের আধিকারিকদের বাড়ির কাজে লাগানো যাবে না। নতুন নির্দেশিকার পরই গত এক মাসে প্রায় ৬-৭ হাজার কর্মী রেলের কাজে যোগ দিয়েছেন। বাকিরাও দ্রুত কাজে যোগ দেবেন বলে আশা করছে রেল।
আরও পড়ুন: ৪০ দিন জেলে, রাম রহিমের ওজন কমেছে ৬ কেজি
রেলের আধিকারিকদের যাতায়াতের ক্ষেত্রেও ভিআইপি সংস্কৃতি দূর করতে চাইছেন রেলমন্ত্রী পীযূষ গয়াল। এ বার থেকে রেল বোর্ডের সদস্য, জিএম বা ডিআরএম-রাও যাতে সেলুন ও এগজিকিউটিভ ক্লাস ছেড়ে সাধারণ যাত্রীদের মতো স্লিপার বা এসি থ্রি-টিয়ার ক্লাসে যাতায়াত করেন সেই অনুরোধও রেখেছেন রেলমন্ত্রী।