দুই আন্তর্জাতিক ট্রেনের সুরক্ষার ভার নিজেদের কাছে ফিরিয়ে নিচ্ছে রেল। ছবি: সংগৃহীত।
নিজেদের পরিকাঠামো আছে। তা সত্ত্বেও মৈত্রী ও বন্ধন এক্সপ্রেসের নিরাপত্তার দায়িত্ব বিএসএফ বা সীমান্ত রক্ষী বাহিনীকে দিয়েছিল রেল। তার খরচ বহনে নিয়মিত প্রচুর খরচ হচ্ছিল রেলের। অবশেষে বিএসএফের কাছ থেকে ওই দুই আন্তর্জাতিক ট্রেনের সুরক্ষার ভার নিজেদের কাছে ফিরিয়ে নিচ্ছে রেল। আগামী এপ্রিল থেকে ভারতের অংশে ওই ট্রেনের নিরাপত্তার দায়িত্ব রেল পুলিশের সহযোগিতায় আরপিএফ বা রেল নিরাপত্তা বাহিনী পালন করবে বলে রেল সূত্রের খবর। তার জন্য শুরু হয়ে গিয়েছে ওই বাহিনীর প্রশিক্ষণও।
ছ’বছর ধরে কলকাতা স্টেশন থেকে গেদে সীমান্ত পর্যন্ত মৈত্রী এক্সপ্রেসের এবং বেনেপোল সীমান্ত পর্যন্ত বন্ধন এক্সপ্রেসের নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করছে বিএসএফ। ফিরতি পথেও একই ব্যবস্থা। কলকাতা স্টেশনে শুল্ক দফতরের সঙ্গে অভিবাসন সংক্রান্ত কাগজপত্র এবং যাত্রীদের মালপত্র পরীক্ষার দায়িত্বেও আছে তারা। এর জন্য রেলের তরফে নির্দিষ্ট অঙ্কের অর্থ পাঠাতে হয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের কাছে।
বিএসএফের হাত থেকে ওই দায়িত্ব সরিয়ে নেওয়ার চিঠি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক থেকে রেলের কাছে পৌঁছেছে বলে রেল সূত্রের খবর। নতুন ব্যবস্থায় আরপিএফ ও জিআরপি পারস্পরিক সমন্বয়ের ভিত্তিতে ট্রেনের নিরাপত্তার দেখভাল করার পাশাপাশি অভিবাসন সংক্রান্ত দায়িত্বও সামলাবে। উত্তরবঙ্গে মিতালি এক্সপ্রেসের দায়িত্ব এখন পালন করে রেলের এই দুই বাহিনীই।
নতুন দায়িত্ব সামলাতে প্রশিক্ষণ চলছে আরপিএফ ও জিআরপি-তে। নাশকতা ঠেকাতে পৃথক স্কোয়াড তৈরি হচ্ছে। চলছে নিজস্ব ডগ স্কোয়াড তৈরির কাজও। শিয়ালদহ ডিভিশনের রেলওয়ে ম্যানেজার শীলেন্দ্র প্রতাপ সিংহ বলেন, ‘‘এপ্রিল থেকে নতুন দায়িত্ব নিতে পারে আরপিএফ।’’
ভারত-বাংলাদেশ দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের অঙ্গ হিসেবে ২০০৮ সালে কলকাতা ও ঢাকার মধ্যে মৈত্রী এক্সপ্রেস চালু করা হয়। একই ভাবে ২০১৭-য় কলকাতা ও খুলনার মধ্যে চালু হয় বন্ধন এক্সপ্রেস। রাজ্য পুলিশ সূত্রের খবর, জোড়া ট্রেনের সুরক্ষায় বিএসএফ এক কোম্পানির বেশি জওয়ানকে নিযুক্ত করেছিল। ওয়াকিবহাল মহলের ব্যাখ্যা, নিজস্ব পরিকাঠামো থাকা সত্ত্বেও ওই কাজের জন্য বেশ কিছু টাকা বাড়তি খরচ হচ্ছিল রেলের। খরচ কমাতেই ওই দায়িত্ব ফিরিয়ে নিচ্ছে রেল।