MH 60R Seahawk

শত্রুর ডুবোজাহাজকে খুঁজে বার করে টর্পেডো দেগে শিকার বানাবে! নৌসেনার হাতে এল সেই ‘সি হক’

ডুবোজাহাজ বিধ্বংসী টর্পোডোর পাশাপাশি ‘ম্যাকাব্রে হেলফায়ার আরএনএক্স’ ক্ষেপণাস্ত্রও ব্যবহার করা যায় সিকরস্কি ব্ল্যাক হক কপ্টারের নৌ সংস্করণ সি হক থেকে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৬ মার্চ ২০২৪ ২২:৫৫
Share:

ভারতীয় নৌবাহিনীর অন্তর্ভুক্ত এসএইচ-৬০ আর ‘সি হক’। ছবি: পিটিআই।

অত্যাধুনিক প্রযুক্তির সাহায্যে দ্রুত চিহ্নিত করতে পারে গভীর সমুদ্রে লুকিয়ে থাকা শত্রুপক্ষের ডুবোজাহাজ। এর পর নির্ভুল লক্ষ্যে আঘাত হেনে তাকে নিকেশও করতে দড় এসএইচ-৬০ আর ‘সি হক’। বুধবার আনুষ্ঠানিক ভাবে ভারতীয় নৌবাহিনীর অন্তর্ভুক্ত হল সেই যুদ্ধ হেলিকপ্টার।

Advertisement

বুধবার কেরলের কোচিতে নৌসেনার আকাশ শাখা আইএনএস গরুড়-এ আনুষ্ঠানিক ভাবে আমেরিকার সংস্থা সিকরস্তির তৈরি কপ্টারটি প্রথম স্কোয়াড্রন ‘কমিশন’ পেয়েছে। প্রসঙ্গত, ২০২০ সালে আমেরিকার তৎকালীন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ভারত সফরের সময় নৌসেনার জন্য সি হক কেনার বিষয়ে দ্বিপাক্ষিক চুক্তি হয়েছিল। ভারতীয় নৌবাহিনীর জন্য ২৪টি মার্কিন ‘এমএইচ-৬০আর’ হেলিকপ্টার’ কিনতে খরচ হবে ২৬০ কোটি ডলার। অর্থাৎ প্রায় ২১ হাজার ৫৩০ কোটি টাকা।

ডুবোজাহাজ বিধ্বংসী টর্পোডোর পাশাপাশি ‘ম্যাকাব্রে হেলফায়ার আরএনএক্স’ ক্ষেপণাস্ত্রও ব্যবহার করা যায় সিকরস্কি ব্ল্যাক হক কপ্টারের নৌ সংস্করণ সি হক থেকে। সেই ‘ওয়ারহেড-লেস মিসাইল’ ভারতীয় নৌসেনাকে দেওয়ার সিদ্ধান্ত ইতিমধ্যেই নিয়েছে আমেরিকার বর্তমান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সরকার। আল কায়দা প্রধান আয়মান আল-জাওয়াহিরি এবং ইরানের জেনারেল কাশেম সোলেমানিকে হত্যা করতে আমেরিকা সেনা ব্যবহার করেছিল এই ক্ষেপণাস্ত্র। ‘নিনজা বোমা’ নামে পরিচিত এই ক্ষেপণাস্ত্রের বৈশিষ্ট্য হল লক্ষ্যবস্তুকে টুকরো টুকরো করে ফেলবে, কিন্তু জোরালো কোনও বিস্ফোরণ হবে না। ক্ষতি হবে না ‘মূল লক্ষ্যের’ আশপাশের বাড়িঘর এবং মানুষজনের।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement