প্রতীকী ছবি।
দেশের ‘সার্বভৌমত্ব এবং নিরাপত্তা’ বিঘ্নিত হতে পারে, এমন আশঙ্কায় মোট ৪৩টি মোবাইল অ্যাপ নিষিদ্ধ করল কেন্দ্রীয় সরকার। ঘটনাচক্রে, যে অ্যাপগুলি নিষিদ্ধ করা হয়েছে, তার বেশির ভাগই চিনা অ্যাপ এবং সেগুলি ডেটিং সংক্রান্ত। ইদানীং ডেটিং অ্যাপের জনপ্রিয়তা যথেষ্ট বেড়েছে। তরুণ-তরুণীদের মধ্যেও এই অ্যাপের ব্যবহার ক্রমশ বাড়ছে। সেই অ্যাপগুলি নিষিদ্ধ করে কেন্দ্রীয় সরকার তোপের মুখে পড়ে কি না, তা-ও দেখার।
ভারতের তথ্যপ্রযুক্তি আইনের ৬৯এ ধারায় এই মোবাইল অ্যাপগুলিকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে বলে তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রক সূত্রে মঙ্গলবার জানানো হয়েছে। এই মোবাইল অ্যাপগুলির ব্যবহারের মাধ্যমে দেশের নিরাপত্তা, প্রতিরক্ষা এবং সার্বভৌমত্ব বিপদের মুখে পড়তে পারে বলে সতর্কবার্তা দিয়েছিলে ‘ইন্ডিয়ান সাইবার ক্রাইম কো-অর্ডিনেশন সেন্টার’। ওই হুঁশিয়ারি পাওয়ার পরেই এই পদক্ষেপ করা হয়েছে বলে মন্ত্রক সূত্রে খবর।
অ্যাপ সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অন্যান্য মোবাইল অ্যাপগুলির মতো ডেটিং অ্যাপ এখন যথেষ্ট জনপ্রিয়। লাদাখে ভারতের সঙ্গে চিনের গোলমালের ফলে এর আগে বহু চিনা অ্যাপ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, এখন তাই বিভিন্ন ‘জনপ্রিয়’ ডেটিং অ্যাপের মাধ্যমে ‘চরবৃত্তির’ নতুন পন্থা নিয়েছে চিন। এই অ্যাপগুলির মাধ্যমে সহজে লোকজনকে ফাঁদে ফেলা সম্ভব বলেও অভিমত তাঁদের।
প্রসঙ্গত, এর আগে গত ২৯ জুন ৫৯টি এবং ২ সেপ্টেম্বর মোট ১১৮টি মোবাইল অ্যাপ নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। সেগুলি সবই চিনা অ্যাপ বলে জানিয়েছিল কেন্দ্র। তখনও এক বিবৃতি জারি করে কেন্দ্রীয় সরকার জানিয়েছিল, দেশের সার্বভৌমত্ব এবং নিরাপত্তার খাতিরে এবং দেশের জনসাধারণের সুরক্ষার জন্য ওই মোবাইল অ্যাপগুলি নিষিদ্ধ করা হচ্ছে। সেই নিষিদ্ধকরণের তালিকায় টিকটক, ইউসি ব্রাউজার, উইচ্যাট-এর মতো জনপ্রিয় অ্যাপগুলি ছিল। অভিযোগ উঠেছিল, ওই অ্যাপগুলির মাধ্যমে দেশের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রে নজরদারি চালাচ্ছিন চিন। দেশের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হওয়ার আশঙ্কায় তখন সেগুলি নিষিদ্ধ করা হয়। এর পর আবার মঙ্গলবার আরও ৪৩টি অ্যাপ নিষিদ্ধ করা হল।