ভূমিকম্পে বিধ্বস্ত মায়ানমার। —ফাইল ছবি।
ভূমিকম্পে ধ্বস্ত পড়শি রাষ্ট্র মায়ানমারে ত্রাণ এবং উদ্ধারকাজের জন্য বিশেষ অভিযান শুরু করেছে ভারত। নাম দেওয়া হয়েছে ব্রহ্মা অভিযান (অপারেশন ব্রহ্মা)। শনিবারই ত্রাণসামগ্রী নিয়ে মায়ানমারের উদ্দেশে পাঠানো হয়েছে ভারতীয় নৌসেনার দু’টি জাহাজ। জরুরি পরিস্থিতির জন্য ভারতীয় সেনার বিশেষ অস্থায়ী হাসপাতাল (ফিল্ড হসপিটাল)-ও পাঠানো হচ্ছে। ওই অস্থায়ী হাসপাতালে ভূমিকম্পে আহতদের জরুরি চিকিৎসা পরিষেবা দেওয়ার জন্য যাচ্ছে চিকিৎসক এবং স্বাস্থ্যকর্মী-সহ ১১৮ জনের একটি দল। জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর ৮০ জনের একটি দলকে মায়ানমারে পাঠানো হয়েছে উদ্ধারকাজে সাহায্য করার জন্য।
নৌসেনার জাহাজ আইএনএস সাতপুরা এবং আইএনএস সাবিত্রীর সোমবারের মধ্যে ইয়াঙ্গনে পৌঁছে যাওয়ার কথা। শনিবার ভোরেই ১০ টন ত্রাণ নিয়ে প্রথম জাহাজটি রওনা দিয়েছে মায়ানমারের উদ্দেশে। পরে আরও ৩০ টন ত্রাণ নিয়ে দ্বিতীয় জাহাজটি রওনা দেয় শনিবার বিকেলে। দু’টি জাহাজ মিলিয়ে ৪০ টন ত্রাণ পাঠানো হচ্ছে ভারত থেকে। এ ছাড়া নৌসেনার আরও দু’টি জাহাজকে প্রস্তুত রাখা হয়েছে বাহিনীর আন্দামান-নিকোবর কমান্ডের অন্তর্গত শ্রীবিজয়পুরমে। আগামী দিনে প্রয়োজন অনুসারে সেগুলিকেও পাঠানো হবে মায়ানমারে।
আকাশপথেও ত্রাণসামগ্রী পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে। ভারতীয় বায়ুসেনার একটি বিমানে শনিবার উত্তরপ্রদেশের হিন্দন বায়ুসেনা ঘাঁটি থেকে পৌঁছে গিয়েছে ইয়াঙ্গনে। ১৫ টন ত্রাণ পৌঁছে দেওয়া হয়েছে মায়ানমারে। ত্রাণসামগ্রীর মধ্যে রয়েছে তাঁবু, কম্বল, খাবারের প্যাকেট এবং জরুরি চিকিৎসা সামগ্রী। বায়ুসেনার আরও দু’টি বিমানে করে ১১৮ জন চিকিৎসাকর্মী-সহ সেনার একটি অস্থায়ী হাসপাতালও পাঠানো হচ্ছে মায়ানমারে। এই অস্থায়ী হাসপাতালে ৬০ শয্যার চিকিৎসা পরিষেবার ব্যবস্থা রয়েছে। জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর ৮০ জন সদস্যের দলের সঙ্গে পাঠানো হয়েছে উদ্ধার অভিযানের জন্য প্রয়োজনীয় অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতি। কংক্রিট কাটার যন্ত্র, ড্রিল করার যন্ত্রের সঙ্গে পাঠানো হয়েছে উদ্ধার অভিযানের জন্য প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত সারমেয় দলও (ক্যানাইন স্কোয়াড)। ধ্বংসস্তূপের নীচে আটকে থাকা মানুষদের উদ্ধারের জন্য মায়ানমারের স্থানীয় প্রশাসনকে সাহায্য করে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর এই দল।