Indian Air strike

‘গাছের উচ্চতায় নেমে গিয়ে আক্রমণ চালিয়েছে ভারতের যুদ্ধবিমান মিরাজ ২০০০’

‘‘এই ধরনের বিমান হামলায় সবার আগে প্রয়োজন হয় নিখুঁত খবরের। এই জায়গাতেই অনেক এগিয়ে গিয়েছে ভারত।  কারণ, বিমান হামলার সময় যুদ্ধবিমানকে প্রথম শত্রুঘাঁটির আকাশে একেবারে গাছের উচ্চতায় নামিয়ে নিয়ে যেতে হয়। তার পর যুদ্ধবিমান খাড়া ৯০ ডিগ্রি ওপরে ওঠে।  ওপর থেকে বোমাবর্ষণ করে পাইলট আবার যুদ্ধবিমানটি নীচের উচ্চতায় নামিয়ে এনে অন্য এলাকার দিকে ছুটে যায়।’’

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ১৩:৩১
Share:

মিরাজ ২০০০। ফাইল চিত্র।

ভোর রাতের অন্ধকারে পাক অধিকৃত কাশ্মীরের একদম ভিতরে ঢুকে বোমাবর্ষণ চালিয়েছে ভারতের গর্বের যুদ্ধবিমান মিরাজ ২০০০। পুলওয়ামা কাণ্ডের এই প্রত্যাঘাতে কতটা ক্ষতি হল জঙ্গিদের, জঙ্গি দমনে কতটা এগিয়ে গেল ভারত। কী বলছেন বিশেষজ্ঞরা?

Advertisement

প্রাক্তন সেনাপ্রধান শঙ্কর রায়চৌধুরী ভূয়সী প্রশংসা করেছেন ভারতীয় গোয়েন্দাদের । তাঁর কথায়, ‘‘ক্ষয়ক্ষতির খবর এখনও বলা সম্ভব নয়। কিন্তু যে ভাবে জইশের সব থেকে বড় ঘাঁটিতে ঢুকে আক্রমণ চালালো ভারতীয় বায়ুসেনা, তা আসলে ভারতীয় গোয়েন্দাদের নিখুঁত তথ্য জোগাড় করে দেওয়াকেই সামনে আনছে।’’

প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞ অনিল গৌড় সংবাদসংস্থা কে জানিয়েছেন, এই বিমানহামলার জন্য যে প্রস্তুতি ভারত নিয়েছে, সেটাই তাঁকে চমকে দিয়েছে। তাঁর কথায়, ‘‘এই ধরনের বিমান হামলায় সবার আগে প্রয়োজন হয় নিখুঁত খবরের। এই জায়গাতেই অনেক এগিয়ে গিয়েছে ভারত। কারণ, বিমান হামলার সময় যুদ্ধবিমানকে প্রথম শত্রুঘাঁটির আকাশে একেবারে গাছের উচ্চতায় নামিয়ে নিয়ে যেতে হয়। তার পর যুদ্ধবিমান খাড়া ৯০ ডিগ্রি ওপরে ওঠে। ওপর থেকে বোমাবর্ষণ করে পাইলট আবার যুদ্ধবিমানটি নীচের উচ্চতায় নামিয়ে এনে অন্য এলাকার দিকে ছুটে যায়।’’

Advertisement

আরও পড়ুন: প্রত্যাঘাতের কয়েকঘণ্টা পরই ভারতের আকাশে পাক-ড্রোন, গুলি করে নামাল সেনা

অনিল গৌড়ের কথায় এই ধরনের আক্রমণ বিপজ্জনক, কারণ প্রতিপক্ষ বিন্দুমাত্র খবর পেলে যুদ্ধবিমান ধ্বংস করে দিতে পারে। কারণ, যুদ্ধবিমান শত্রুঘাঁটির একদম কাছে পৌঁছে যায় । আশঙ্কা থাকে শত্রু রাডারে ধরা পড়ে যাওয়ার। তাই পাইলট এবং যুদ্ধবিমান, সবার জন্যই এই ধরনের আক্রমণ অত্যন্ত বিপজ্জনক।’’

বিপদের আশঙ্কা থাকা সত্ত্বেও যে ভাবে জঙ্গি ঘাঁটিতে নিখুঁত হামলা চালিয়ে ভারতীয় বায়ুসেনা, তা দক্ষতা এবং বুদ্ধিমত্তার পরিচায়ক বলে জানিয়েছেন অনিল গৌড়। একই সঙ্গে তাঁর মন্তব্য, ‘‘পাকিস্তানের থেকে ভারতের বায়ুসেনা অনেক বেশি শক্তিশালী। তাই প্রথম আক্রমণ করার জন্য বায়ুসেনাকে বেছে নেওয়াও ভারতের সেরা কৌশল।’’

কী কী আছে ভারতীয় সেনার অস্ত্রভাণ্ডারে জানেন?

আরও পড়ুন: ভোর রাতের অভিযানে সবচেয়ে বড় জইশ জঙ্গি ঘাঁটি ধ্বংস করেছে বায়ুসেনা, জানাল বিদেশ মন্ত্রক

আরও এক প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞ পি কে সায়গলেরও মন্তব্য, ‘‘আক্রমণ করলে প্রত্যাঘাত আসবে, এই বার্তাই পৌঁছে দেওয়া গেল পাকিস্তানকে। দু’দিন আগেই এলাকা পরিদর্শন করে পাক সেনাপ্রধান জানিয়েছিলেন, ভারতের আক্রমণ সামাল দিতে তাঁদের প্রস্তুতি শেষ। সেই কথা যে কতটা ফাঁকা ছিল, তাই প্রমাণ করে দিল ভারতীয় বায়ুসেনা।’’

গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement