গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।
প্রত্যাঘাত হবেই— তিনি গোটা দেশকে বার বার আশ্বস্ত করছিলেন। কথা মতো পাকিস্তানে ঢুকে জইশ ঘাঁটি নিশ্চিহ্নও করে এসেছে ভারতীয় বায়ুসেনা। তা নিয়ে ভারত-পাক উত্তাপ এখন চরমে। চূড়ান্ত পরিণতি কী হবে? স্পষ্ট নয়। এই পরিস্থিতিতেই বিরাট ভিডিয়ো কনফারেন্সে সরাসরি মুখোমুখি হচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বৃহস্পতিবার দেশের ১৫ হাজারটি জায়গাকে ভিডিয়ো কনফারেন্সে জোড়া হচ্ছে মোদীর সঙ্গে। কী বলবেন নরেন্দ্র মোদী? ঠিক কী ধরনের প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হবে তাঁকে? জানার অপেক্ষায় গোটা দেশ।
বিজেপি সূত্রের খবর, আগামিকাল, বৃহস্পতিবার ভিডিয়ো কনফারেন্সের মাধ্যমে দেশের ১৫ হাজার জায়গার বাসিন্দাদের সঙ্গে সরাসরি কথা বলবেন মোদী। কর্মসূচির নামেও রয়েছে মন। ‘ভারত কী মন কী বাত, কার্যকর্তা কী সাথ’। বিজেপি সূত্রে খবর, সারা দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ওই লাইভ ভিডিয়ো কনফারেন্স হবে। পশ্চিমবঙ্গ বিজেপি জানিয়েছে, এ রাজ্যের মধ্যে কেবল ঝাড়গ্রাম জেলার বাসিন্দাদের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী সরাসরি কথা বলবেন।তবে পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জেলাতেও ভিডিয়ো কনফারেন্স অনুষ্ঠানটি সরাসরি সম্প্রচার করা হবে।পঞ্চায়েত ভোটের ফলে জঙ্গলমহলের মনোভাবের আঁচ মিলছে। শক্তি বৃদ্ধি হয়েছে গেরুয়া শিবিরের। তাই কি লোকসভা ভোটের আগে ঝাড়গ্রামে এত জোর? আলোচনা শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে।
ওই কর্মসূচি অনুযায়ী মোদীর কথা বলার কথা দলীয় নেতাদের সঙ্গে। সেখানে সাধারণ মানুষের অভাব-অভিযোগ শোনার অবকাশ আছে কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। বিজেপি সূত্রের খবর, সাধারণ ভাবে বিষয়টি তাই। অর্থাৎ ভিডিয়ো কনফারেন্সের মাধ্যমে সরাসরি নেতাদের মনের কথা শোনার কথা প্রধানমন্ত্রীর। তবে এখনও পর্যন্ত ঠিক রয়েছে, বিজেপির কোনও কোনও কার্যালয়ের সামনের কর্মসূচির ক্ষেত্রে কিছুটা ব্যতিক্রমী হতে পারেন মোদী।
আরও পড়ুন: যুদ্ধ নয়, শান্তি চাই, সুর নরম করে বলল পাকিস্তান
ওই ভিডিও কনফারেন্স সারা দেশ জুড়ে সম্প্রচারিত হবে। প্রতিটি রাজ্যের একটি করে এলাকার বাসিন্দা ও দলীয় কার্যকর্তাদের সঙ্গে কথা বলবেন প্রধানমন্ত্রী। পশ্চিমবঙ্গে দলের ১২০০ মণ্ডলে সরাসরি ভিডিও সম্প্রচারের ব্যবস্থা থাকছে।
আরও পড়ুন: সেনাপ্রধানদের সঙ্গে জরুরি বৈঠক প্রধানমন্ত্রীর, খুলে দেওয়া হল ৩ রাজ্যের ৮ বিমানবন্দর