অজয়কুমার সিংহের বাবা বীরপাল সিংহ। ছবি: এএনআইয়ের টুইটার হ্যান্ডল থেকে সংগৃহীত।
পুলওয়ামার ক্ষত এখনও দগদগে। তারমধ্যেই প্রত্যাঘাত করেছে ভারত। পাকিস্তানে ঢুকে জঙ্গিঘাঁটি গুঁড়িয়ে দিয়ে এসেছে ভারতীয় বায়ুসেনা। তাতে খুশি পুলওয়ামায় নিহত জওয়ানদের পরিবার। বায়ুসেনার ভূয়সী প্রশংসা করেছেন তাঁরা।
গত ১৪ ফেব্রুয়ারি দক্ষিণ কাশ্মীরের পুলওয়ামা সিআরপি কনভয়ে হামলা চালায় পাকিস্তানি জঙ্গি সংগঠন জইশ-ই-মহম্মদ। তাতে ৪৯ জন জওয়ানের মৃত্যু হয়। যার মধ্যে উত্তরপ্রদেশের দেওরিয়ার বাসিন্দা বিজয়কুমার মৌর্য ছিলেন। এ দিন বায়ুসেনার অভিযানের খবর পেয়ে তাঁর স্ত্রী বিজয়লক্ষ্মী বলেন, ‘‘বায়ুসেনাকে অভিনন্দন। সকালে খবরটা পেয়ে একটু স্বস্তি পেলাম। আমি চাই, সেনাবাহিনী আরও বড় অভিযানে যাক। কুচক্রীদের একেবারে শেষ করে দিয়ে আসুক।’’
বিজয়কুমার মৌর্যের দাদাও বায়ুসেনাকে অভিনন্দন জানান। তাঁর কথায়, ‘‘বায়ুসেনার পদক্ষেপে খুশি আমরা। এ ভাবেই চাপে রাখতে হবে পাকিস্তানকে, যাতে জইশ-ই-মহম্মদের মতো জঙ্গি সংগঠনগুলি আমাদের আক্রমণ করার সাহস না পায়।’’
হামলার পর এখনও থমথমে পুলওয়ামা। ছবি: রয়টার্স।
আরও পড়ুন: দেশ নিরাপদ হাতে রয়েছে, মাথা নত হতে দেব না: প্রত্যাঘাতের পরে বললেন মোদী
আরও পড়ুন: ফের নিয়ন্ত্রণ রেখায় গোলাবর্ষণ পাক সেনার
মেরঠের জওয়ান অজয়কুমার সিংহও পুলওয়ামায় প্রাণ হারান। তাঁর বাবা বীরপাল সিংহ একসময় সেনাবাহিনীতে কর্মরত ছিলেন। এ দিন সংবাদ সংস্থা এএনআই-কে দেওয়া সাক্ষাত্কারে তিনি বলেন, ‘‘খবর শুনে মনটা ভাল হয়ে গেল। কিন্তু আর কতদিন আমাদের আত্মবলিদান দিতে হবে? অনেক আগেই এই পদক্ষেপ করা উচিত ছিল।’’
পুলওয়ামার পর, জইশ-ই-মহম্মদ ফের ভারতে একাধিক আত্মঘাতী হামলা চালানোর ছক কষছিল বলে জানিয়েছে ভারতীয় বিদেশমন্ত্রক। আগেভাগে তা রুখে দেওয়ার জন্য বায়ুসেনার প্রশংসা করেন অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট জেনারেল ডিএস হুডাও। তবে সেনার এই পদক্ষেপের কৃতিত্ব মোদী সরকারকেই দেন তিনি।
পাকিস্তান যদিও শুরু থেকে পুলওয়ামা হামালার দায় নিতে অস্বীকার করে এসেছে। তবে দেশের মাটিতে জঙ্গিদের নিরাপদ আশ্রয় দেওয়ায় তাদের সমালোচনায় সরব হয়েছে আন্তর্জাতিক মহল। রাষ্ট্রপুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদও পুলওয়ামা হামলার তীব্র নিন্দা করে।
(কাশ্মীর থেকে কন্যাকুমারী, গুজরাত থেকে মণিপুর - দেশের সব রাজ্যের গুরুত্বপূর্ণ খবর জানতে আমাদের দেশ বিভাগে ক্লিক করুন।)