Indian Air Force

চিন সীমান্তের গা ঘেঁষে বৃহত্তম বিমান নামাল ভারতীয় বায়ুসেনা

লাদাখে যখন মুখোমুখি অবস্থানে ভারত আর চিনের সশস্ত্র বাহিনী, ঠিক তখনই অরুণাচলে চিন সীমান্তের মাত্র ২৯ কিলোমিটার দূরে অবতরণ করল ভারতীয় বায়ুসেনার বৃহত্তম বিমান। অরুণাচলের মেচুকা বিমানঘাঁটিতে বৃহস্পতিবার বায়ুসেনার স্ট্র্যাটেজিক ট্রান্সপোর্ট এয়ারক্র্যাফ্ট সি-১৭ গ্লোবমাস্টার অবতরণ করেছে।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ০৪ নভেম্বর ২০১৬ ১৫:৫৯
Share:

মেচুকা বিমানঘাঁটিতে অবতরণ সি-১৭ গ্লোবমাস্টারের। ছবি: পিটিআই।

লাদাখে যখন মুখোমুখি অবস্থানে ভারত আর চিনের সশস্ত্র বাহিনী, ঠিক তখনই অরুণাচলে চিন সীমান্তের মাত্র ২৯ কিলোমিটার দূরে অবতরণ করল ভারতীয় বায়ুসেনার বৃহত্তম বিমান। অরুণাচলের মেচুকা বিমানঘাঁটিতে বৃহস্পতিবার বায়ুসেনার স্ট্র্যাটেজিক ট্রান্সপোর্ট এয়ারক্র্যাফ্ট সি-১৭ গ্লোবমাস্টার অবতরণ করেছে। দেশের যে কোনও প্রান্তে খুব দ্রুত বিপুল অস্ত্রশস্ত্র এবং বড়সড় বাহিনী পৌঁছে দিতেই এই বিমান কাজে লাগে। ভারতীয় বায়ুসেনার পাইলটরা বৃহস্পতিবার অপরিসীম দক্ষতায় মেচুকার মতো ক্ষুদ্র বিমানঘাঁটিতে গ্লোবমাস্টারকে অবতরণ করিয়েছেন।

Advertisement

অরুণাচলপ্রদেশের পশ্চিম সিয়াং জেলায় অবস্থিত মেচুকা বিমানঘাঁটি। সে রাজ্যে সামরিক পরিকাঠামো বৃদ্ধির লক্ষ্যে চিন সীমান্তবর্তী অঞ্চলে সম্প্রতি যে বন্ধ হয়ে পড়ে থাকা বিমানঘাঁটিগুলি নতুন করে খোলা হয়েছে, মেচুকা সেগুলির অন্যতম। এই বিমানঘাঁটির রানওয়ে মাত্র ৪২০০ ফুট দীর্ঘ। ফলে এই রানওয়েতে খুব বড়সড় বিমানের উড়ান বা অবতরণ কঠিন। কিন্তু ভারতীয় বায়ুসেনার বৃহত্তম বিমান সি-১৭ গ্লোবমাস্টার সাফল্যের সঙ্গে বৃবস্পতিবার মেচুকায় অবতরণ করেছে।

অরুণাচলপ্রদেশের ৯০ হাজার বর্গকিলোমিটার এলাকাকে চিন নিজেদের এলাকা বলে দাবি করে। বেজিং-এর দাবি, অরুণাচলের ওই অংশ আসলে দক্ষিণ তিব্বত। ভারত কোনও দিনই সে দাবিকে মান্যতা দেয়নি এবং ওই এলাকা ভারতের নিয়ন্ত্রণেই রয়েছে। সেই রকম এক এলাকায় গ্লোবমাস্টারের অবতরণ বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ, বলছে ওয়াকিবহাল মহল।

Advertisement

মেচুকার নিকটবর্তী বড়সড় ভারতীয় সামরিক ঘাঁটি বলতে অসমের ডিব্রুগড়। দূরত্ব ৫০০ কিলোমিটার। রাস্তাঘাট খুব ভাল নয়। আধভাঙা এবং দুর্গম ওই পাহাড়ি রাস্তা ধরে চিন সীমান্তে সেনা পাঠাতে বেশ কয়েক দিন সময় লেগে যায়। সেই কারণেই মেচুকার মতো দুর্গম এলাকাগুলিতে বিমানঘাঁটি তৈরি করেছে ভারত। সীমান্তে অপ্রীতিকর পরিস্থিতি তৈরি হলে খুব দ্রুত সেখানে বাহিনী এবং রসদ পাঠানোর দরকার পড়বে। তখনই সবচেয়ে বেশি করে কাজে লাগবে এই বিমানঘাঁটিগুলি। মেচুকায় বৃহস্পতিবার গ্লোবমাস্টারের সফল অবতরণ দেখে তাই প্রতিরক্ষা মন্ত্রক উল্লসিত।

আরও পড়ুন: লে-তে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখার এ পাশে ফের অনুপ্রবেশ চিনা সেনার

ভারতীয় যুদ্ধবিমান মেচুকা থেকে উড়ে মিনিটখানেকের মধ্যে চিন সীমান্তে পৌঁছে যেতে পারে। লাদাখে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা বা লাইন অব অ্যাকচুয়াল কন্ট্রোল (এলএসি) লঙ্ঘন করে যে দিন চিনা সেনা ভারতীয় এলাকায় ঢুকেছে, সেই দিনেই অরুণাচলে গ্লোবমাস্টার নামাল ভারত। চিনের প্রতি কি বিশেষ কোনও বার্তা? জল্পনা রয়েছে ওয়াকিবহাল মহলে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement