ট্রাম্প জমানা শুরু হওয়ার পর এই প্রথম কোনও শীর্ষ মার্কিন কর্তা ভারত সফরে। সোমবার সাউথ ব্লকে ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রীর সঙ্গে মার্কিন প্রতিরক্ষা সচিব। ছবি: পিটিআই।
আফগানিস্তানের উন্নয়নে ভারত যে ভূমিকা নিয়েছে, তা ‘অমূল্য’। বললেন মার্কিন প্রতিরক্ষা সচিব জেমস ম্যাটিস। সোমবারই ম্যাটিস নয়াদিল্লি পৌঁছেছেন। আজ মঙ্গলবার ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী নির্মলা সীতারামনের সঙ্গে ম্যাটিসের বৈঠক হয়েছে। আফগানিস্তানের উন্নয়ন এবং নিরাপত্তা ছিল অন্যতম মূল আলোচ্য। ভারত এবং আমেরিকা যৌথ ভাবে সন্ত্রাসের মোকাবিলা করবে কোন পথে, তা নিয়েও বিশদে আলোচনা হয়েছে। দ্বিপাক্ষিক বৈঠক শেষে সন্তুষ্ট দু’পক্ষই। আফগানিস্তানে সেনা পাঠাবে না ভারত, তবে উন্নয়নে আরও বেশি করে অংশীদার হবে। ম্যাটিসকে জানিয়েছেন সীতারামন।
তালিবান শাসনের অবসান ঘটিয়ে আফগানিস্তানে গণতন্ত্র ফেরানোর পর থেকেই আমেরিকার সঙ্গে হাত মিলিয়ে সে দেশের উন্নয়নে কাজ করছে ভারত। জঙ্গিরা যাতে আর মাথা তুলতে না পারে আফগান মুলুকে, তা নিশ্চিত করতেই এই যৌথ প্রয়াস। ট্রাম্প অবশ্য চাইছিলেন, আফগানিস্তানে আরও সক্রিয় হোক ভারত। ম্যাটিসের ভারত সফরে আফগানিস্তান নিয়ে কথা হবে বলেও সাউথ ব্লক সূত্রে আগেই জানা গিয়েছিল। মঙ্গলবার জেমস ম্যাটিসের সঙ্গে বৈঠকের পর নির্মলা সীতারামন জানালেন, আফগানিস্তান নিয়ে দু’দেশের মধ্যে কথা হয়েছে। ভারত জানিয়েছে, আফগানিস্তানের উন্নয়নে আরও বেশি ভূমিকা নেবে নয়াদিল্লি। কিন্তু আফগানিস্তানে ভারত সেনা পাঠাবে না।
আফগানিস্তানে ভারত-মার্কিন যৌথ কর্মসূচি সম্পর্কে ম্যাটিস এ দিন বলেছেন, ‘‘আফগানিস্তানে ভারতের যে অমূল্য ভূমিকা, তাকে আমরা সম্মান করি এবং আফগানিস্তানের গণতন্ত্র, নিরাপত্তা ও সুরক্ষাকে মজবুত করতে ভারত আর যে সব ভূমিকা নেবে, তাকেও স্বাগত জানাই।’’
আরও পড়ুন: পাকিস্তানে সন্ত্রাস রয়েছে, সুষমাকে খোঁচা দিয়েও মানল চিন
সন্ত্রাস ইস্যুতেও ম্যাটিস এবং সীতারামনের মধ্যে আলোচনা হয়েছে এ দিন। নির্মলা সীতারামন সে আলোচনায় বলেছেন, পাকিস্তান গোটা বিশ্বের সন্ত্রাসের আঁতুড়ঘর এবং সন্ত্রাসবাদীদের বিরুদ্ধে উপযুক্ত পদক্ষেপ করার জন্য পাকিস্তানকে আরও চাপ দেওয়া উচিত আমেরিকার। যদি ম্যাটিস কখনও পাকিস্তান সফরে যান, তা হলে এই বিষয়ে তিনি যেন পাকিস্তানের উপর চাপ তৈরি করেন। ভারতের তরফে এমন দাবিই পেশ করা হয়েছে মার্কিন প্রতিরক্ষা সচিবের সামনে।
আরও পড়ুন: জোটসঙ্গী জোটানোই বড় চ্যালেঞ্জ মের্কেলের
ম্যাটিস নিজেও এ দিন বৈঠকের পর সন্ত্রাস নিয়ে মুখ খুলেছেন। তিনি বলেছেন, ‘‘ভারত এবং আমেরিকা সন্ত্রাসের ভয়াবহ শিকার। আমরা যে হেতু সন্ত্রাস মুছে ফেলতে চাই, সে হেতু আমরা ভারতের সঙ্গে আরও নিবিড় ভাবে কাজ করতে চাই।’’