প্রতীকী ছবি।
গত এক বছরে বিশ্বের সব দেশের মধ্যে সব চেয়ে বেশি বার সরকারি নির্দেশে ইন্টারনেট বন্ধ হয়েছে ভারতে। ইন্টারনেটে মত প্রকাশের স্বাধীনতা, নিরাপত্তা, গোপনীয়তা ও মানবাধিকারের মতো বিষয়ের পক্ষে লড়া আন্তর্জাতিক সংস্থা ‘অ্যাকসেস নাও’ জানিয়েছে এই তথ্য। তাদের রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০১২-র জানুয়ারি থেকে এখনও ভারতে ৩৭৩ বার নেট পরিষেবা ধাক্কা খেয়েছে।
রিপোর্ট অনুযায়ী, শুধুমাত্র ২০১৯ সালেই ৯১ বার ইন্টারনেট বন্ধ হয়েছে ভারতের বিভিন্ন প্রান্তে। ২০১৮ সালে নেট বন্ধ হয়েছে ১৩৪ বার। শুধুমাত্র নথিভুক্ত হয়েছে এমন ঘটনারই নাগাল পেয়েছে সংস্থাটি। তাদের মতে, প্রকৃত সংখ্যাটি আদতে অনেক বেশি।
‘ইন্টারনেট শাটডাউন’ কী? রাজ্য বা কেন্দ্র সরকারের থেকে নির্দেশ পেয়ে বিশেষ বিশেষ পরিস্থিতিতে রাজ্যে ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করে দেয় টেলিকম সংস্থাগুলি। সাধারণ আইনশৃঙ্খলা ব্যবস্থা হাতের বাইরে চলে গেলেই নেট বন্ধের পথে হাঁটে সরকারগুলি। কখনও আবার হিংসা ছড়ানো বা গোষ্ঠী সংঘর্ষ রুখতেও নেট পরিষেবা বন্ধ করা হয়। ২০১২ থেকে এ পর্যন্ত কাশ্মীরে ১৮০ বার ইন্টারনেট বন্ধ হয়েছে। তবে রাজস্থানের মতো কোনও কোনও রাজ্যে পরীক্ষার চলাকালীন নকল করা বন্ধ করতেও ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ রাখা হয়েছে।
২০১০ সাল থেকে কেন্দ্রীয় সরকার ইন্টারনেট পরিষেবা নিয়ে কড়াকড়ি শুরু করে। কিন্তু সংস্থাটির মতে, ২০১৪ সাল থেকে বিভিন্ন পরিস্থিতিতে ‘শাটডাউন’ প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে দেশে। ‘ইন্ডিয়ান কাউন্সিল ফর রিসার্চ অন ইন্টারন্যাশনাল ইকনমিক রিলেশন’-এর রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০১২ থেকে ২০১৭-র মধ্যে নেট বন্ধ হওয়ার কারণে ৩০০ কোটি ডলার আর্থিক ক্ষতি হয়েছে দেশে।